জীবন আছে বৃত্ত দিয়ে কঠিন করে বাঁধা
সেই বৃত্ত কেমন করে ভাংব সেটাই ধাঁ ধাঁ
কী আর করার আছেরে ভাই, এটাই জগত হায়!
সব দেশেতে একই বিধায় কেমনে বাঁচা যায়!
কেউ কি আছে ভাংবে এমন, অক্টোপাশের নীতি
কার সুরেরই মোহন বাঁশী জাগাবে সম্প্রীতি!
কে পারে আজ বৃত্ত ভেঙ্গে মুক্তি দেবে আলো?
কে ডাকবে বজ্র কণ্ঠে কালো রাত পোহালো?
কেউ কি আছে প্রতীজ্ঞাটা ভাংবেনা কক্ষনো
কেউ কি আছে বলবে হেঁকে, জীবন গল্প শোনোঃ


এক যে ছিল মহান রাজা রাজ্য জুড়ে সাপ
সেই রাজাটা সব গুলো সাপ করে দিল মাফ।
সুযোগ বুঝে সাপেরা সেই রাজ্য দখল করে
রাজাকে নেয় মাটির তলের গোপন আঁধার ঘরে।
ছোবলেতে নীল হয় এই রাজার সারা দেহ
সেই থেকে এই রাজ্য পাটে সাপেরা পায় স্নেহ।
দুধ-ভাত খায়, উৎপাত নাই, শাসন মহাসুখে;
হঠাৎ তখন কোত্থেকে এক ঈগল এসে জোটে,
ঈগল নাকি বাজ পাখি না পেলিক্যানের পাল!
সেটা দেখার সময় কোথায়, বাঁচাও পিঠের ছাল।
লুকিয়ে পড়ে সাপেদের দল, মাটির গর্তে ঢুকে
বাইরে চলে পাখির দাপট, বজ্র নামে বুকে।
সেই বজ্র চোখের আলোয় ঠেকিয়ে দেবে কে
এমন সাহস রয়েছে যার রাজা হবে সে,
একটিও লোক পায়নি সে দেশ পাখির শাসন চলে
যতই বকি, সমালোচনা, মুখের সাহস বলে;
বুকের সাহস যেদিন হবে সেদিন পাখির দল
পালিয়ে যাবে রাজ্য ছেড়ে; নিয়ে মনের বল
এবার নিধন করবে সাপকে, দখল মুক্তি ছল
সাপেরা সব মরবে যখন, বেরিয়ে গর্ত থেকে
সেই থেকে এই রাজ্য স্বাধীন হবে মর্ত্য লোকে।

যদি পারো এমন গল্পে আস্থা তৈরি করো
তা না পারলে মরবে কবি, কাব্য মরো মরো।
সমস্যা এই দেশে অনেক, সমাধান তো নাই
সমাধানের সূত্র খুঁজতে বেরিয়ে পড়া চাই
যেদিন পাবে আপন সূত্র, ফসল ফলবে মাঠে
সেদিন দেখবে সোনার সূর্য্য কেমনে হেসে ওঠে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
৩০ আগষ্ট ২০১৫; রবিবার; ১৫ ভাদ্র ১৪২২; ঢাকা।