১.  ঈদের ছড়া


কেন ব্রাদার এমন কেন, সামনে গরুর ঈদ
বেরিয়ে পড়ো জুতো পায়ে, কাটতে পারো সিঁদ।
হাটে হাটে আসবে গরু, পথে পথে হাট
হাটের জন্য দলের ভিতর, কতনা চোট পাট।
কেউ মরছে কেউ মারছে, কেউ যাচ্ছে জেলে
কেউবা আবার ঘরে বসেই, মুড়ি মশলা গেলে।
তাদের খাওয়া কেউ দ্যাখে না, অন্তরালের ছড়া
সে সব গল্প কথার ছন্দে, লিখবে মিঠে কড়া।


২.  পানি পথ


মহাকালের দীর্ঘ বানে, আবার ভাসছে ঢাকা
বানের জলের ভিতর দিয়েই, চলছে বাসের চাকা।
জলের ভিতর দিয়েই যদি, চলবে পথের গাড়ী
তবে কেন পথের উপর, ট্যাক্‌শো বাড়াবাড়ি?
জলে ভেসে চলেই যদি, অফিস যাওয়া যায়
তবে কেন গ্যাসের মূল্যে, বাসে চড়া দায়!
পকেট খালি, ক’দিন পরে জিপার খাবে টান,
মাইনে নাকি বাড়বে এবার, ডুবলে ঈদের চাঁন।


৩. স্যান্ডুইচ


তাকিয়ে দেখি ভার্সিটিতে, পঙ্গপালের দল
টানছে যেন শকুন টানছে, টানছে হল্লা বল।
শিক্ষক আর শিক্ষাগুরু, সমান কথা নয়,
তাদের মধ্যে মতের অমিল, তোমার কিছু হয়?
তুমি কেন তাদের মাঝে, স্যান্ডুইচের মতো,
টানাটানি করতে যেয়ে, ধিক্কার পাও শত?
এসব তোমার ঠিকাদারী, আমরা বুঝতে পারি
তাইতো এখন ভুলে গেছ, কে মাতা কে নারী।
লজ্জা তোমার কবে হবে, নাকি সেটাও গেছে?
লাজ দেখছে লাশকাটা ঘর, বিবেক দিচ্ছ বেচে!
দেখলে কেমন খেলল যারা, তোমায় নামায় পথে?
এক নিমেষেই বহিস্কার, তোমার ভাগ্যে জোটে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫; শনিবার; ২১ ভাদ্র ১৪২২; ঢাকা