চলো বসি রেস্টুরেন্টে, নয়তো পাবে, সময়গুলো ছড়াই তুষার-শীষে
চলো খেলি স্কী, কুয়াশাময় বরফাচ্ছাদিত টিলায় টিলায়, চড়াই-উৎরাই এ
চলো ভীড় করি, বারে অথবা পিপ-শো’র আলো-আঁধারিতে,
খুঁজে ফিরি নতুনত্বের স্বাদ ও নতুন তরতাজা-রক্ত-গরম-করা প্রাণ;
চলো ঘুরে-ফিরে বেড়াই জগৎময়, পোল্যান্ড-হাঙ্গেরি বা জার্মান-ফ্রান্স হতে
বুলগেরিয়া-স্পেন-সুইজারল্যান্ড, ইটালী-অস্ট্রিয়া, বেনেলাক্স হয়ে
ডেনমার্ক-সুইডেন, তুরস্ক-সাইপ্রাস নয়তো গ্রীস-ইংল্যান্ড ছেড়ে
আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা, ব্রাজিল-মেক্সিকো এখন খুব পুরাতন লাগে
পানামা বা ভেনিজুয়েলা-এখন ছিবড়া হয়ে গেছে, নতুন বৃক্ষ খুঁজি
নতুন শাঁসের সন্ধানে। বেরিয়ে পড়ি দূর-প্রাচ্য বা মধ্যপ্রাচ্য হয়ে
মধ্য এশিয়া, পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া বা এশিয়া প্যাসিফিকে।
আমাদের সেই একই দৃশ্য-একই রকম রাস্তা-সড়ক-হাইওয়ে-একপ্রেস ওয়ে
দেখে দেখে পচে গেছে চোখ, চলো কিনে আনি নতুন কোন শোক
আমাদের এই শোকহীন জীবনে; চলো মেলে ধরি নতুন পাপড়ি
নতুন কোন বাগানে, যদিও জ্বলতে পারে সেটা দাবানলে বা দাবদাহে।


মনে পড়ে আমার ঐ বেদুইন বা উদর-নৃত্য, সিরীয়া, জর্দান জুড়ে
মরুর তাঁবুতে তাঁবুতে সন্ধ্যার পরে, বৃত্ত বা জ্যামিতিক আকারে
মন পড়ে থাকে মিশরীয় কলস বা মধ্য এশিয়ার তাজিক-উজবেক নৃত্য
অথবা আরো সুনীল-গভীরেবুকের ভিতরে তোলপাড় করে ব্যাংকক বা বালি।
সবকিছু জোড়াতালি-এভাবে চলেনা রে!আমি এ্যান্টিয়েটার, মন বলে
ভেঙ্গে ফেল উই-পিঁপড়ে-ঢিবি, জিভ নিয়ে বসে থাকি চারপাশে, খাবো বলে।
ছুটে যাই মরুঝরে-সাফারি, খেজুর গাছের তলে বাহারি নীল জলের ধারা
আমি আত্মহারা, কবে থেকে ভেবে বসে আছি, মাছি যদি উড়ে যেত দূরে
আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে, আগুনের মতো, লক্ষ কোটি তীরের মতো
বহুদূর উপর থেকে নেমে আসে জিভ, বালক-শিশু-বৃদ্ধ অথবা নারী
দিগ্বিদিক, পড়ি মরি ছোটে; সরু করা ঠোঁট-চুমু ছেড়ে সে ঠোঁটে
হরিনাম ছোটে-আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া
প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তীন-অনেক পুরনো ঘটনা, এখন মুখে রোচে না।
রুচি ফেরাতে চাই তাঁবু বা সাফারীর সাথে, মরু যদি মেরুতে এসে জোটে
ক্ষুত কী তাতে, তবু যদি তরুণের-যুবকের মনে ফের গৃহী-ভাব আসে
সে সব ভুলেছি করে-কত ঘাতে, যদি ফের ফিরে আসে দেশে
আরব জাহান ইউরোপে এসে জোটে, খেলাফত-বোগদাদী-স্টেট;
জানে তারা কীভাবে কোহিনূর মনি শোভা পায় বৃটেনের হাতে
পথিবীর তাবৎ যাদু গিমে যাদুঘরে এসে নতুন পুষ্প হয়ে ফোটে।
দুধে হরলিক্স মিশে দুধের শক্তি বাড়ে, পাব ছেড়ে ফিরে চলো ঘরে
ঘরে আছে প্রিয় সব মেনু, ভরে গেছে, প্রিয় এবার সংখ্যাতত্বে
মুসলিম সংখ্যাধিক্য কমিয়ে আমার ঘরে বাড়াতে হবে,
শ্রম-কাম-ঘাম সব ক্লান্তি আজ শুষে নেবে জনস্রোত, উলফাম
শূন্য বা নেতির প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভরাতে হবে কলস, আলসেমী ভুলে।
চলো বসি মুসলিম এর সাথে অনুপাত সংখ্যাতত্ত্বের খেলাতে।  


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫//বুধবার//২৫ ভাদ্র ১৪২২//ঢাকা।