মানুষটা খুব খেয়ালী ছিল, ধোঁয়া খেত খুব
তাকিয়ে দেখি মলিন মুখে তাকাচ্ছে উৎস্যুক;
স্বপ্ন ছিলো বুকের ভিতর, জানে নি তা কেউ
সংস্কৃতির হাওরের জল মনে তুলত ঢেউ।
যদিও ছিল বিশাল বপু, শিশুর মতো মন
যখন তখন গলা ছেড়ে গাইতে পারতো গান।


দুষ্টু বুদ্ধির মানুষেরা ঘুরতো পিছে পিছে
পান থেকে চুন খসলে কত গল্প উড়তো মিছে।
তার প্রস্থান হলো যখন উল্টে গেল হাওয়া
মন্দ কথায় পটু যারা, নিন্দা বাতাস বাওয়া;
তারাই আবার পাল্টে গেলো, স্নিগ্ধ বা’য়ের সুর
কটূ-কথা থেমে গেলো, সমালোচনা দূর।


দেশটা স্বাধীন করতে সে গেরিলা যোদ্ধা ছিল
দেশের প্রতি ভালোবাসায়, জীবন ভরিয়েছিল,
তার ঘরের খোলা দরজা অারো খুলে গেল,
সমালোচকের আলোচনা আপনা জবাব পেলো।
মৃত্যুতে তার উদার মনের প্রকাশ জন ঢলে
সমালোচকের মুখের উপর লক্ষ জুতা পড়ে।


তাকে স্মরণ করতে আমার এই কবিতা লেখা
দেশপ্রেমী এই মানুষটিকে প্রেমের চোখে দেখার।
দেশের জন্য সংগ্রামে তার অবদানের কাছে
আমার লেখার শব্দ ফিকে, নয়তা মোটেও মিছে।
তার বিদেহী আত্মা পাক আল্লাহ্’র কাছে মাফ
হে আল্লাহ্ এই মানুষটি, চাই চিরন্ঞ্জিবী থাক।


এস, এ, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫; বুধবার; ০১ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।