আকাশ থেকে ঝিরঝিরিয়ে নামছে জলের ধারা
এরই মধ্যে হাটে যাবে মমিন গোবেচারা
আজ বাদে কাল করতে হবে গো-ছাগল কোরবাণী
মমিন মিয়ার সেই জন্যেই যত্তো পেরেশানি।


কোনটা দেশি, কোনটা মিশেল কোনটা ভারত ব্রজে
ছাগল কেনো, গরু কেনো, দেখে শুনে বুঝে।
বৃষ্টি ধারা, নরোম কাদা, প্যাচপেচে নয় তরল
পা ডুবে যায় কড়া অব্দি কোথাও হাটুর সরল।


গোবর-মুত্র, পানের পিক আর আছে খড়ের গাদা
এমন মিহিন মিশ্রণ এই জন্মে পাবেন দাদা?
সে সব ঠেলেও মমিন চলে শুরু ছাগল খোঁজা,
কোত্থেকে এ উটকো ষাঁড়ে দৌড় জুড়েছে সোজা।


কোমর বেঁকে বাঁচায় দেহ ষাঁড়ের গুতোর ঠেলা
পা দু’খানা বোঝেনা তা পিছলে এক ঝামেলা!
কাদার ভিতর লুটোপুটি, চেনার উপায় নাই
মমিন মিয়া লাফিয়ে নামেন নদীর কিনারায়।


নদীর জলে বৃষ্টি স্নানে শুদ্ধ গোবর ধন
শুদ্ধ হলো কেনা-কাটা, ত্যাগের যপ সাধন।
হৃষ্ট মনে পরক্ষণে মমিন কাদার পাঁকে
পা ডুবিয়ে দিবি খোঁজেন ছাগল দেবতাকে।


ক’দাঁত হলো, বয়স কত, খুত কি আছে কোনো?
ছাগল নাকি রামছাগল না ক্রস-ব্রীডে জন্মানো?
কান সোজা না লম্বা বেশি, খাসী নাকি পাঁঠা?
কয় হাজারে কত কেজি মাংস হবে-ল্যাঠা?


ঘরে পোষা নাকি ফার্মে, চাষীর না আমদানী
এসব জেনেই কিনে ফেলে, কনফার্ম কোরবানী।
হাটের থেকে বেরিয়ে এসে শান্তি মতো মুখে
ডবল করে দু’খিলি পান কিনে মনের সুখে।


এক খিলি দেয় মুখে ভিতর আরেক খিলি হাতে
হঠাৎ ছাগল মুখ বাড়িয়ে কামড় বসায় তাতে
মমিন মিয়া চমকে তাকায় ব্যাপার হলো কী!
মমিন মিয়া না বুঝুক ভাই বোঝেন ছাগল জী।  


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৫; বুধবার; ০৮ আশ্বিন ১৪২২//দিনাজপুর