চোখের দৃষ্টি ধূসর, বিষন্নতার ছায়া
ধীরে ধীরে ধূসর জুলফি, মাথার চুল,
দারুণ কষ্ট বুকের হাঁপরে, বৈদ্য দেখতে চায়
তাই যেতে হয়, নিয়মিত, শরীরের যত্নের ধারপাশে।
ক্ষীণ হয়ে আসে দৃষ্টি, শক্তিমান কাচের ভিতর দিয়ে
পৃথিবী সজীব, তবু চারপাশে সবকিছু ধোঁয়াশা লাগে।


শুধু সজীব সুরের বিতান, সম্মোহনের মতো বাজে,
এ সাগর মন্থনে বিষ নয়, উঠে আসে অমৃত
পান করে বার বার বেঁচে উঠি, ফিরে আসি
মৃত্যুর নাগদরজা থেকে, লাগে লাখে সাপ
উত্থিত ফণা বার বার নামিয়ে কুর্ণিশ করে।


একদিন সেই শ্রদ্ধায়ও চিড় ধরে, ফাটল গ’লে
হু হু করে ঢুকে পড়ে জল, অটল, বাধ মানে না,
সমুদ্র মন্থনেও আর মুক্তো মেলে না,
গ্রাস করে সীমাহীন নীল, নীল অমরাবতী,
হাত নাড়ে দূরে থেকে সময়ের অরুন্ধতী।


লীলাবতীর সফেদ জমিন, কত শত সংযোগ বিয়োগের খেল
তোমাকে পারে না সেই নীল ধুয়ে
সবুজের ঘাসে মেলে ধরতে, অরুন্ধতীর টান ছিঁড়ে;
নীল মুছে হয়ে যায় সাদা..তারপর সোজা..
সিঁড়ি নেমে যায় অতল জলের তলে,
সিঁড়ি উঠে যায় মেঘের সাগর পেরিয়ে, অনন্ত অম্বরে
অভিমানে কেঁদে মরে সুর শহরে বন্দরে, রাজপথে ফুটপাতে।
আর আমি মরি পাথরে-পাষাণে অস্তিত্ব ঠুকে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০১ অক্টোবর ২০১৫; বৃহস্পতিবার; ১৬ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।


বিঃ দ্রঃ    আমার সুর সাগরের প্রাণ গুরু জগজিত সিং এ মাসে মহা প্রয়াণে যান। আজ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় প্রার্থনার ৩য় পর্ব পাঠকের সামনে রাখছি। ১ম ও ২য় পর্ব উন্মোচন করেছি গত ২৫-০৫-২০১৫ এবং ০১-০৬-২০১৫ তারিখে। প্রিয় পাঠককে সশ্রদ্ধ সালাম ও নমস্কার এবং সম্মান জানাই।