কোথায় রাখি কোথায় বসাই
কেমন করে সমাদরে
এ ঘরে পাও ফেলে না কেউ
আজকে থেকে ক’কাল ধরে।


উল্টো পাটি উল্টো পিঁড়ে
চেয়ারটাতে দাই পিঁপড়ে
পাদানিতে পা আমদানী
হয়নিরে সেই কাল দুপুরে।


রাঙ্গা সাঁঝের সময় গেলো
নগর জুড়ে নিয়ন আলো
ফিরছি ঘরে ক্লান্ত পায়ে
আমিও যেন অতিথ হয়ে।


পর্দাখানি দরজাটাকে
ঢাকছে না তো তেমন করে
জীর্ণ ঘরের শীর্ণ দশা
অতিথ সমুখ বেরিয়ে পড়ে।


হেঁসেলে সেই সকালের ফুল
শুকিয়ে গিয়ে দিচ্ছে শোভা
দুয়ার যখন আলোয় ভাসে
সেই অতিথির আলোর প্রভা।


তখন আমার শনির দশা
কালবেলাতে ভূ-কম্পাসে
নিত্য নতুন জ্যা-এর ফাঁকে
অতিথিকে বসাই এসে।


জল দেবো না আঁজলা দেবো
তোয়ালে না দস্তুরখান
মাথার ভিতর জট পাকিয়ে
বেতাল মামার ঘোর শ্মশান।


আমার এমন অতিথিকে
কেমন করে দি’ সম্মান
ছোট্ট আমার বসত ঘরে
মাথায় চাঁদের শিরস্ত্রাণ।


হে অতিথি ভালবেসে
সেটাই তোমায় করছি দান
বরণ করে এই জনমে
এবার করো পরিত্রাণ।


ভালবাসার অতিথিকে
বরণ করার ডালা কই
ভুল যদি হয় ক্ষমা করো
আমি তোমার যোগ্য নই।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৯ অক্টোবর ২০১৫; শুক্রবার; ২৪ আশ্বিন ১৪২২//ঢাকা।


এ আসরের জনপ্রিয় ও আমার অতিপ্রিয় কবি জনাব শ. ম. শহীদ এর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানিয়ে এ কবিতাটি পেশ করলাম। আমি তাঁর সুন্দর ও ভালবাসাময় হৃদয়, প্রশান্তিতে পরিপূর্ণ মন, দীর্ঘ সুস্থ্য ও কর্মময় জীবন কামনা করছি।