১.


আজকাল ঢাকা শহরের শহরের প্রায় প্রতিটি কংক্রীটের মসজিদে
বেসমেন্ট দেখা যাচ্ছে। কিন্তু জানি না, কেন?
নামাজীরা আল্লাহ্‌র রাহে এখানে আসেন, বেসমেন্টে যান না
তাহলে বেসমেন্ট বাড়ছে কেন!কি প্রয়োজন তার?
কি কাজ ওখানে? কে থাকে, কি থাকে ওখানে!!
আমি যা দেখি তা কি আপনারও চোখে পড়ে!!


২.


গলিত লাভার স্রোতের নিচে সহস্রবছর পড়ে থাকলেও
আজ আমি জেগে উঠেছি, যদিও দেহ আমার প্রস্তরীভূত
পম্পেই এর মতো। আমাকে হারিয়ে ফেলতে পারো
চোখের পলকে, পারবে না ভুলে যেতে
আমি স্মরণময় অনাগত কাল হতে অবিরত।


৩.


আমার কলোনীতে পাগড়ী ও জোব্বা পরা এক যুবক
শিশুদের মাঝে ফুল বিলায়, খোঁজ নিয়ে দেখি
তার হাতে আছে একটা ফরম, সেখানে বাবা-মার সম্মতির কথা
যুবক শিশুদের রুটিন লেখার ছক দেয়, সুন্দর সুন্দর কার্ড দেয়
নামাজের হাকীকত শেখায়, শুধু শেখায় না
কিভাবে বলতে হয় সত্য কথা, কারণ তার হাতের কার্ডে
যা কিছু লেখা আছে, তার অর্ধেকেরই বেশি মিথ্যা।
যেদিন তাকে প্রথম জেরা করি, ঘরে ডেকে, সদুত্তর পাইনি
জবাব দিয়ে যাবে বললেও তারপর থেকে তাকে আর দেখি না, যদিও শিশুরা তার খোঁজ করে, ফুলের সন্ধানে, শিশুরা
তাজা ফুল বড় বেশি ভালোবাসে, ফুলের কীট চেনে না;
আপনার মহল্লায় এরকম শিশু বান্ধব কাউকে কি নজরে পড়ে!


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
০৪ নভেম্বর ২০১৫; বুধবার; ২০ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।