কীট দুষ্ট মন সারাক্ষণ প্রমাদ গোণে
বিচ্যুত স্বপ্নের পিঠে সওয়ার একপাল পঙ্গপাল
ধেয়ে আসছে শস্যের ক্ষেত খেতে
লাখে লাখে, ঝাঁকে ঝাঁকে, সমূহ বিনাশ আসন্ন।


তাকে রুখতে, তার পথের থেকে সরিয়ে নাও
প্রিয় শস্যচারা, তৃণলতা, তরুদল
সরিয়ে নাও শেষ প্রাণটুকুও, প্রিয় প্রজন্মকে
সময়ের প্রয়োজনে সাড়া দিতে শিখিয়ে দিয়েছিল
আমাদের অগ্রদূত, অগ্রসেনানী ছিল যারা।


আজ আমার ঘরে প্রদীপের লক্ষ আলো
আজ আমার শিয়য়ে মোনাজাতের মন্ত্রধ্বনি মায়ের কন্ঠে
পেরিয়ে যাচ্ছে পঙ্গপালের দল, অগণন ক্ষেত ফসল
বিনষ্ট করে, হোক নষ্ট, তবুও চলে যাচ্ছে, এই-ই
এ সময়ের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার, সময়ের উৎকৃষ্ট প্রাপ্তি।


পঙ্গপালের প্রস্থানের পর বিনষ্ট ফসলের মাঠ
পরিষ্কার করে আবার চাষাবাদে নজর দিতে হবে
আবার বুনতে হবে নব কিশলয়ের চারা
বিরাণ পাথারে আবার আসবে প্রাণ-জোয়ার,
আসবে আন্দোলিত হবে চিরসবুজ পত্র পল্লবেরা।


আর কান্না নয়, আর নয় নীরবে অশ্রু বিসর্জন
এবার কান্না মুছে সামনে বাড়াতে হবে পা।
ক্ষুদে ক্ষুদে পঙ্গপালের বংশবদেরা বড় হবে
ছানাপোনারাও আবার বড় হয়ে বংশ বাড়াবে,এবার
ভাবতে হবে নষ্টকীটের বিনাশে কীটনাশক নিয়ে।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//অবিনাশী সময়
১৮ নভেম্বর ২০১৫; বুধবার; ০৪ কার্তিক ১৪২২//ঢাকা।