তুমি দুঃখ পাবে, হয়তো, যা অনেক সময়ই হয়
আমার দুঃখ গাথা শুনে তোমার মনে বিবমিষা ভয়!


আমি বার বার কতবার বলে এসেছি তোমার
কষ্ট-কথা সেই চুয়াল্লিশ বছর ধরে, তার মাঝে
এই একটি-দু’টি বছর কান্নার অবিরল জলধারা
বাষ্প হয়ে উঠে যায় আকাশে, বৃষ্টি হয়ে ঝরে।


এখনো যখন গিয়ে দাঁড়াই ইটখোলা, শিয়ালবাড়ী
ওয়াটার ওয়ার্কস এর জল্লাদখানা অথবা গল্লামারীর পাশে,
দু’চোখ বেয়ে খানিকটা আনন্দের অশ্রু আর অনেকটা
বুকের ভিতরে জমে থাকা যন্ত্রণার বিষধারা নেমে আসে।


আমি কতবার হেঁটে গেছি কীর্তনখোলার তীরে
কতবার গেছি, তিতাস বা ভৈরবের বধ্যভূমির পাশে,
শান্ত সুবোধ স্রোত বয়ে চলে ভাটির টানে, যেমন
চলেছিল কেরাণীগঞ্জের পাশে বুড়িগঙ্গা বা ধলেশ্বরীর
নির্বাক ঢেউ-এ, তার ভাষা বোঝেনি এ প্রজন্মের কেউ
সেই পীড়ন এখনো ফিরে আসে এই ডিসেম্বরে।


তোমার জন্য আমার এ স্মরণ, হে কবি, সাংবাদিক
চিকিৎসক, শিক্ষক বা পেশাজীবি, এই ঘোর অদেখা
অন্ধকারে, প্রতিবারের মতো এবারও; যৎকিঞ্চিত
বেদনা লাঘবের সুরভিত বাতাস যদিও টের পাই শ্বাসে।


তোমার প্রতি আমার স্মরণ ও শ্রদ্ধা, হে শহীদ ও হে শহীদ
বুদ্ধিজীবি সকল, ক্ষমা কোরো এই অক্ষমতা অনুভূতি হীনতা
নিদারুণ ব্যস্ততার সম্ভারে। তোমাকে যেন আর ভুলে না যাই
আগামী শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ও বিজয় দিবসের প্রত্যাশা এই।


এস, এম, আরশাদ ইমাম//স্খলিত সময়
১৪ ডিসেম্বর ২০১৫; রবিবার; ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪২২//ঢাকা।