ভীরু ভীরু চোখ, দুরু দুরু বুক, ক্ষীণ আর্তনাদ
যা কিছু তীব্র প্রতিবাদ, নিমেষেই থেমে যায়
ছুরির ফলার সামনে, একটু লম্ফ ঝম্প, ক্রমশঃ
নিস্তেজ হয়ে আসা পেশীর কাঁপন....তারপর সব স্থির।


অপলক চোখ তাকিয়ে থাকে, আর কিছু করার নেই।
চামড়া ছাড়ানো, খন্ড-বিখন্ড দেহ, ফুটন্ত পানিতে
আতর, গোলাপ, জাফরানে রঙীন হয়ে ওঠে,
শাহী খানা বলে কথা, যদিও মুরগীর প্রাণ নাশ,
কারো কারো তো রসনা চরিতার্থ অথবা উদর পূর্তি।


কোনদিন কী ভেবেছি, তারও প্রাণ আছে, ছুরির ফলার
সামনে তার ভিতরেও উথলে ওঠে বেঁচে থাকার আকুতি।