রিক্সাটা থেমে গেল, তারপর সামনে জনস্রোত,
বাসন্তী রঙের স্রোত, শাহবাগ থেকে দোয়েল চত্ত্বর এলাকা
পায়ে পায়ে ভেসে চলি দক্ষিণ থেকে উত্তরে, আমরা।


অবাক বিস্ময়ে হাত চেপে ধরে থাকে ইলোসা গঞ্জালেস,
বিস্ময়ের সাথে আনন্দ, চশমার ফাঁক গলিয়ে বেয়ে চলে
আনন্দাশ্রু, এমন কখনো দেখেনি সে, ফুলের বন্যা।


কোন সে পেরু অথবা উরুগুয়ে, সহজ সাবলীল বিশ্বাস
সরল নিরহংকার তরুণী, ফাগুনের এই ফুলেল উৎসবে
ডুবে যায় অনন্ত আবেগে, আগ্রহে, আকণ্ঠ বিলীন।


তার নিজস্ব বিদ্যাপীঠের মনোহর ক্যাম্পাস ছেড়ে এসে
ইলোসা হাত রাখে বাংলার পলাশে, ঠোঁট রাখে
শিমুলের বুকে শুষে নেয় রঙের মধু, দূর পরিযায়ী পাখি।


দিন গড়ায়, সন্ধ্যা নামে-যে রঙে ফুল ফোটে, যে রঙে
ডুবে থাকে বাংলার নারী, শাড়ী অথবা অন্য পোশাকে
নারীর আঁচলে বাঁধা পড়ে সূর্য, একই অাবীর রঙে।


আলো আঁধারী রাতের উপকণ্ঠে ইলোসা এখন চিরায়ত নারী,
আকণ্ঠ নিমজ্জন প্রেম, প্রণয় ও ভালোবাসাতে, হাতে হাত রাখি,
শাহবাগ এভিনিউ এখনো সপ্রাণ আমাদের অভ্যর্থনাতে।


প্রিয় ইলোসা, স্পর্শের চেয়েও নিকটে, বসন্তের এই বাউরী বাতাসে
এই হাতে হাত আর বুকের ভিতরে দূর সমুদ্রের ঢেউ
বার বার এসে আছড়ে পড়ে ফাল্গুনের এই বাংলা কার্ণিভালে।


তুমি ফিরে যাবে, নিভে যাবে সম্মুখের আলোকমালা, বর্ণিলতা
থেকে যাবে ভিতরের আলো, বাংলার প্রান্তর ছাপিয়ে
ছড়িয়ে যাবে সুদূর আমেরিকা থেকে ইন্দোনেশিয়া, ইলোসা।।


০১ ফাগুন ১৪২২; শনিবার; ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
স্ফুরিত সময়//ঢাকা।


(ইলোসার জন্য কবিতা)