সোনাঝরা রোদের কুচি এসে যখন বিলি কাটবে
সোনালী আঙুলে তোমার ঘণকৃষ্ণ চুলে,
কৃষ্ণচূড়ার লালাভ আগুন শিখা যখন
হঠাৎ ঈশান হাওয়ায় উড়ে এসে মুনিয়ার মতো
বসবে কার্ণিশে, কাঠবেড়ালীর মতো যুবা রোদ্দুর
যখন ছায়া খুঁজবে তোমার ধানসিঁড়ি ছায়ায়,
আর-
অনাকাঙ্খিত বাউরী বাতাসের শিশ
স্বচ্ছতোয়া জলধারার মতো গড়াবে
তোমার দু’চোখের কোণা বেয়ে,
হিমবাহের মতো গলে গলে পথ খুঁজে ছুটে যাবে সমুদ্রে;
তখনও আমি আসবো
তোমার স্টেইনলেস আল্পনার বারান্দায় জলপিপি হয়ে
        তখন আমাকে চিনতে পারবে কি?


আলোময় অঙ্গন তোমার তখনও আলোময় থাকবে,
শুধু দেয়ালের উজ্জ্বলতায় পথ ক্লান্তির মতো
কিছু অসার অলস ধুলো জমবে,
পরিপাটি নিকোনো ঘরময় বারান্দাময়
তখনও খেলা করবে ভালোবাসার বেহালার ছড়া,
তখনও গোধুলী আলো সুর তুলবে স্মৃতির ভায়োলীনে
তোমার পশ্চিমের বারান্দায়,
তখনও তোমার উত্তরের জানালা আকাশ জুড়ে দেখাবে
সুদূর সাইবেরিয়া থেকে ছুটে আসা
পরিযায়ী অতিথির এ্যাক্রোব্যাট শূন্যতার ক্যানভাসে;
তখন তিল তিল করে জমানো দেশী-ভিনদেশী সব
স্যুভেনির শোভা ছড়িয়ে যাবে শো-কেস থেকে,
আমি তখন আসবো- আলটপকা হাওয়ার মতো
তোমার শিয়রে-স্পর্শের কাঙ্গাল হয়ে
        তুমি বুঝতে পারবে কি?


২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬; শনিবার; ০৮ ফাল্গুন ১৪২২
স্ফুরিত সময়//ঢাকা।