পাঁচটনি ট্রাকের মতো
তোমার চিঠি এসে নাকের টিলার উপর স্থির,
তারপর থেকে নিঃশ্বাসে শুধু তোমারই গন্ধ,
কখনো মনে হয়
ইকেবানা থেকে সস্তায় পাওয়া গোলাপ
কখনো আলপনা থেকে পাওয়া -তীব্র সুরভিত
সৌরভের মুখ খোলা শিশি,
কখনো ভাবি-এইমাত্র খোলা কোন কফিন
কর্পূরের মতো মাদকতাময়;
হিসাব শেষের উগ্র ঘ্রাণ--কোনটি যে ঠিক তোমার
চিনে উঠতে বার বার ভুল করি।


ঝড় বয়ে যায়
চোখের পাপড়িতে মনের মধ্য আঙ্গিনায়,
মস্তিস্কের এ পাড়ায় ও পাড়ায়
সুখটুকু কুড়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু চিঠি।


ভুল করে চিঠিটাকে
বর্শা ভেবে নিতে ইচ্ছা করে, কিন্তু
বর্শা থেকে তোমার শরীরের সৌরভ আসে না।
আসলে-
নাকটাই আমার বড় বেয়াড়া
এ গলি ও গলি ঘুরে বেড়ায়, নয়তো-
বিষ ফোঁড়ার মতো তোমার চিঠি
কেন আর এই দুর্বাহীন টিলায় স্থির!


এবার সত্যি নাক কেটে দেবো,
আর কখনো যেনো
ব্যাপার না বুঝে ব্যপৃত না হয়!
তোমার চিঠি যেনো
প্রথম বসন্ত বিকেলের ঘুড়ির মতো
এ বাড়ী ও বাড়ী, এ আকাশ ও আকাশে
উড়ে চলে যতি হীন;
এই প্রতীজ্ঞাটুকু সত্যিই অব্যয়।


বট ও পাকুড়/ঢাকা।
০৫ এপ্রিল ২০১৬/মঙ্গলবার/২৩ চৈত্র ১৪২২


লেখাঃ ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫।