তাল বুঝিনা বলে গান ছেড়ে গেল আমাকে।
আমি ছাড়লাম গান গাওয়ার মোহ, অক্ষমতাকে সনদ করে।
কিন্তু আসলে কেউ কি ছেড়েছি কাউকে? যায় কি ছাড়া?
বিধ্বস্ত বিক্ষিপ্ত সে প্রেম পালমীরার মতো ছড়িয়ে আছে
সুরের সুরাহীন মরুময়তায়, আবার কোন সুররিয়্যালিস্টিক
মুহূর্তে যদি হারানো, ধ্বস্ত, ত্রস্থ, ব্যপ্ত সে প্রেম সুর খুঁজে পায়!


হায়! এ রকম কেন হয়!
সুরের সাগরে কেন এই অসুরের রতিহীন হানা!
ভাসিয়ে নেয় বুকের সবটুকু আবেগ, আমি তালকানা।


কিভাবে আবার মিলন আসবে লহরী তুলে,
কিভাবে আবার মিলব “দোঁহে দোঁহার সনে” তন্ত্রীর সাঙাতে!
ভাল আছি কি দু’য়ে দুইকে ছেড়ে!


আয় আমার বাল্যপ্রেম, আয় জড়িয়ে ধর এই অবেলাকে
ক্ষতি নেই, কিছু চাইবার নেই পরস্পরের তোর অথবা আমার কাছ থেকে।
হায় তাল! ফিরে নে তোর ছন্দবদ্ধতা, মাত্রাবদ্ধতা!


প্রস্থানের আগে আরেকবার এসে
ভর করুক অসুর ডানায় বিগত সুরের পাখি!
আরেকবার এসে ঘর বাঁধুক বেতাল মামু
মহাশশ্মনের কোন শ্যাওড়া বৃক্ষ শাখায়,
হোক না তা উল্টো পায়ে!
পৃথিবীকে ক’জন পারে উল্টিয়ে দেখতে!
সুর আর তাল এবার ধরা দিক মহা দ্বান্দ্বিকতার নতুন কুরুক্ষেত্রে।
তাল নাই? নাই। আমার সুর চাই।
বধ হোক আমার অসুর পর্বের, তালকানা দিনের সমাপ্তি চাই।


বট ও পাকুড়/ঢাকা।
০২ বৈশাখ ১৪২৩/শুক্রবার/১৬ এপ্রিল ২০১৬