আজ কোন কথা নয়, নীরবতা
আজ কোন লেখা নয়, শাদা পাতা
পড়ে আছে ঝোলাব্যাগ, ফুটপাতে
খয়েরী রং, রক্তের ছোপ তাতে।


কি ছিল সেই ব্যাগে, যার ভয়ে
চলে যেতে হলো তাকে নেই হয়ে!
হাতে লেখা কবিতার ক’টি লাইন
(কারো কাছে ককটেল নয় মাইন)
ডায়েরী রয়েছে এক, লেখা ভরা
গানের স্বরলিপি, সুর ধারা
(সেটাতেও ভয় কারো, যদি হায়
যে ঘুমে ঘুমায়ে সব-জেগে যায়!)
আছে এক ছোট বাঁশি এক কোণে
সুর তার বেজেছিল আনমনে
কখনো ক্লাশের ফাঁকে, নিজ ঘরে
যেখানে ছাত্ররা রোজ ভীড় করে
(বাঁশি যদি সুরদিয়ে মন টানে
জাগায় নতুন প্রাণ নয়া বানে!)
আর ছিল কুরোসাওয়া আকিরা
ছবি দেখে ছুটে আসে পাখিরা
তিনটাকা দামে কেনা কলমটা
প্রিয় বই মলাটটা রং ওঠা
(এসবেও বড়ো ভয়, ভীতুদের
যুক্তিতে পরাজিত রিপুদের
নিষ্প্রাণ করে তারা ভাবে এই
জিতে যাবে চিরদিন এভাবেই !)


আজ কোন কথা নয় মৌনতা
আমি বেঁচে আছি, আজ গৌণ তা
কাল আমি ছবি হয়ে যেতে পারি
জীবনের চেয়ে কি যে দরকারী!
মানুষই যদি নাই বেঁচে থাকে
স্রষ্টাকে কোন জন দেখে রাখে
সৃষ্টি যখন লোপ পেয়ে যাবে
আরাধনা ঘরে আলো কে জ্বালাবে?


একবার মনে যদি আলো ধরে
পালাবেই হার্মাদরা আঁধারে
মাঝে যাবে ক্ষতি হয়ে কিছু প্রাণ
তবুও চলবে এই আলো-গান
পড়ে থাকা খয়েরী ব্যাগ ভরা
রয়েছে তা আলোর বীজ অধরা
বীজ থেকে অঙ্কুর আলো-গাছ
মুছতে কালোর গ্রহ কত কাজ!


বিবর্ণ ফুটপাত আলো করে
সমাজকে নাড়া দেবে সজোরে
ঝোলাব্যাগ দাঁড়াবেই মাথা তুলে
সহস্র সংখ্যায় ঘরে ঘরে
এনে দেবে অজস্র আলো-বাতি
কালোর পতন শেষে প্রভাতি
সে প্রভাতে দূর হবে সঙ্গীন
আলোর পতাকা হবে উড্ডীন।
‘’‘’‘’‘’‘’’‘’‘’‘’’‘’’‘’‘’’‘’‘’’‘’‘’‘’‘’’‘’‘’’‘’‘’‘’’‘’‘’‘’’‘’‘’‘’’‘


বট ও পাকুড় (অনুসন্ধান)/ঢাকা
১৩ বৈশাখ ১৪২৩/মঙ্গলবার/২৬ এপ্রিল ২০১৬
,.,.,..,.,.,.,.,,...,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,.,...,,,.
প্রয়াত অধ্যাপক রেজাউল করিম মুকুল স্যার স্মরণেষু।