ওম শান্তি!
জগতের সকল প্রাণী, মানুষ ও মুসলিমকূল শান্তি পাক।


শুরুর আগে


মহাশূন্যের মহা অন্ধকারের ভিতরে হঠাৎ যে কী হলো!
লেগে গেলো ধুন্ধুমার দ্বন্দ্ব, ছিন্ন-ভিন্ন হলো অগ্নি-পিন্ড সকল
পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়লো অসীম শূন্যতায়
তাপে, রশ্মিতে, চৌম্বকত্বে, আকর্ষণে একেকটি পিন্ড বাঁধা পড়লো
একেক গোত্রে, অসীম অন্ধকারে সেগুলো গোত্রভুক্ত হয়েই
ঘুরতে লাগল অনির্দিষ্ট পথে, অনির্দিষ্ট লক্ষ্যে, অনির্দিষ্ট কাল।
আলোহীনতার সে দীর্ঘ পথ-পরিক্রমায়
তাপ বিলীন হয়ে সুশীতল হলো পিন্ডগুলোর দেহতল,
যদিও অপরিমেয় উত্তাপ দেহাভ্যন্তরকে জারিত করেছে প্রতি পলে।
এ অসীমতার কোথায় যে স্বর্গ আর কোথায় যে নরক!
কোথায় স্বর্গ, কোথায় মর্ত্য বিভেদরেখা টানা কি সম্ভব?


স্রষ্টা জানেন। এরই কোন এক খানে স্রষ্টার বাস।
তাঁর মহাসৃষ্টিশীলতায় তমসাসমুদ্রে জন্ম নিল কত প্রাণ
নিঃসীম অন্ধকারের ভিতরেই কোন এক খন্ড আপাতঃশীতল পাথর
পিন্ড ফুঁড়ে নড়ে চড়ে উঠল আরো কিছু প্রাণ, সে আরেক আখ্যান।
অন্ধকার আর আলো তার কাছে কোন পৃথক অস্তিত্ব নয়;
অন্ধকারের ভিতরেই তার বসবাস, বংশ বিস্তার, চলাচল।


স্রষ্টা তাবৎ মহাবিশ্ব একপাশে রেখে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন
সেই প্রাণীকূলের জন্য
পাঠালেন দেবতাকে উপহার হাতে অালোহীনতা সাঁতরে তার কাছে, কার কাছে?
তারাও প্রাণী এবং স্রষ্টার বিচারে সৃষ্টজীবের সেরা, তারা মানুষ।


বট ও পাকুড় (বিশ্বাস)/ঢাকা
২৭ বৈশাখ ১৪২২/সোমবার/০৯ মে ২০১৬।