তারা বেশ আছে, ধনে জনে মানে, সুর সঙ্গীত ও গানে
তারাও বেশ আছে, ধর্মে কর্মে বর্মে, সারাদেশে সবখানে।


হচ্ছে জবাই দিনাজপুরে, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোরে
হচ্ছে কতল গোপালগঞ্জ, ঢাকা, রাঙ্গামাটি, যশোরে;
পুড়ছে ঘরবাড়ী আড়াইহাজার বা ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া
নড়াইল, বাঁশখালী, লক্ষ্মীপুর অথবা সাতকানিয়া;
মসজিদের মাইক এখন অসময়ে ওঠে বেজে
ফটিকছড়ি, বগুড়া, মুন্সীগঞ্জ বা নারায়নগঞ্জে;
ধর্মানুভূতি আজ অস্থির চঞ্চল, বার বার জেগে ওঠে
পাঁচ ওয়াক্ত ছাড়াও, বিকেল সন্ধ্যা রাত বা মধ্যরাতে।


শূনপদ তিনশ’ পদোন্নতি আটশ’, প্রতিদিন ভরছে গোয়াল
দলীয়করণে সকলি শেষ, সুবিধাখোরের ফেনায়িত চোয়াল
পদ থেকেও পদোন্নতি বঞ্চিত সেকালেও ছিল, একালেও
আগের মতোই, কানে তুলো ঠাসা, চোখে-আঙুল দেখালেও
চর্বি-মাংস-মজ্জা, চুলের বাহারি সজ্জা,
চার টন এসিতেও জুড়াতে পারে না দেহ
বাপের পাহাড় ছিল, ছেলের ম্যাজিস্ট্রেসি ছিল,
কালের আঘাতে কবে সেটাও হারিয়ে গেল।
বিকল্প খুঁজেছে মন, কাজে নয় সন্ধানে অনুক্ষণ
পেয়েছে অন্তিমে তাকে আজ
কুচর লতিকা দিয়ে সম্বন্ধের পরিসূত্র বোনা
উন্নতির একমাত্র সোপান তাজ।
গোয়াল ভরেছি গরু, বুনেছি কল্প তরু
খেয়ে ফেলে অদৃষ্টের ছাগলে
বাড়েনা শখের চারা, গতিহীন দিশাহারা
উচ্চাসীনরা আখেরের মিছিলে।


মরেছে ফারুকী, কিন্তু দেখি এ কী,
তার কথা কেউ বলে না
যে আমার গোর খোঁড়ে, সে আমার দোর গোড়ে,
অদৃষ্ট পিছু ছাড়ে না
বাপের পূণ্য সব, ধুয়ে মুছে হয়েছে সাফ,
জাপটে ধরেছে পাপ
পাপ নাকি কাউকে ছাড়ে না
পচা শামুক পা কেটেছে, ‍মুখমন্ডল কুত্তা চেটেছে,
দুর্গন্ধ পিছু ছাড়ে না
নতুন সন্তান শিক্ষাহারা, ধর্ম হয় না শিক্ষা ছাড়া,
ধর্ম যাকে স্থান দেয় না
হতে চায় ধ্বজাধারী, বিদ্যার কি বলিহারী,
টেবিলে সুস্বাদু খানা
বেশ আছে এই তারা, জনগণ ছন্নছাড়া,
কাউকেই তোয়াক্কা করে না
উচ্ছন্নে দেশের যাত্রা, মুছে গেছে ছন্দ মাত্রা,
কাউকে অাজ কেউ মানে না
এরই মধ্যে তারা আছে, সুখে-অসুখে-তেলতেলে গায়ে
এতকিছু গায়ে লাগে না
যেদিন আয়েশ ছেড়ে, খানার পাত্র নেবে কেড়ে,
আশে পাশে কাউকে পাবে না।।


বট ও পাকুড় (উন্মার্গ)/ঢাকা
০৪ জৈষ্ঠ্য ১৪২৩/বুধবার/১৮ মে ২০১৬।