জিন্দাপীরের ফিঙ্গেমিয়া, মনঘোমটা রোগী
ভিতর ভিতর সেলিমুষ্মান সাজে যেমন যোগী
ঘোমটা তুলে খ্যামটা নাচে বাইরে ধবল জ্যোতি
অামরা তারে যতই বুঝি, সকলই দুর্মতি
তার পিছনে মক্কা-কাবা, মাদরাসা আর টুপি
যা করে সে ভিতর ভিতর অন্ধকারে চুপি
বাহুলগ্ন প্রেমলগ্ন অসংলগ্ন কাল
কোন দুষ্টের নষ্ট মনে তুলেছিল পাল
তরতরিয়ে নৌকা ছোটে সংসদের ঐ লেকে
চাচায় আবার ট্যারা হয়ে তাকায় তারই দিকে
‘‘এ যে দেহি ভাবশিষ্য আমার চেয়েও বেশি
আমার ছিল লম্বা ল্যাঞ্জা হ্যাতের আছেই বা কি!”
মাথার ভিতর ঘুরতে থাকে পায়না জবাব খুঁজে
দল থেকে তাই বাইর করতে সময় নিচ্ছে বুঝে
না হয় চাচায় বুঝতে থাকুক শিঙ্গা চোঙ্গা দিয়া
আমরা দেখি ময়না শালিখ ময়ূর পায়রা টিয়া
সবাই এসে বাকুম করে ওসমানের হেরেমে
ক্লাশ বোঝেনি ভক্ত বাঙাল মরতাছে শরমে
ঘুরবে ফিরবে ভোজন করবে রাত নামলে সুরা
কে বলেছে বয়স অনেক দেখতে লাগে বুড়া
আসলে সে তরুণ যুবা জোশে ঈমান ঠাসা
তেঁতুল হুজুর ঠিক চিনেছেন জাতের সেলিম পাশা
এই কাব্য অতল তলের তল পাওয়া যাবে না
পায়ূষ্মানের গুণের কথা শেষ খুঁজে পাবে না
হালে একটু পানি দেখেই ঘাই মেরেছে শোল
কানের পর্দা ঠিক বুঝেছে সেলিম পাশার বোল
তেঁতুল নামা সুলতানিয়ার হেরেম কেউ চেনে না
প্রবেশ নিষেধ সে প্রাসাদে রাষ্ট্র দেখায় কানা
বউ বাচ্চা আছে কি না খবর রাখে কেডা
পাশে আছেন নারায়নী সেটাই এখন জ্যাডা
সালতানাৎ বা খেলাফতটা কায়েক হোক না আগে
দ্যাখা যাবে শরাব নহর হুর পরী কার ভাগে
কে পেয়েছে কটার দখল আরো কটা পাবে
একে একে সকল হিসেবে ঠিকই জানা যাবে
এটাই তো আজ শেষ কথা নয় সামনে সময় আছে
গিলে খাবে আস্ত মানুষ আসমানী সেই মাছে
বাচ্চা ছেলে, বয়্‌সী মানুষ, নোকর উকিল কাজী
সব খাবে এই রাক্ষুসে মাছ বুঝেছ বাবাজী
ওসমানীয়া মুল্লুকে তাই খেজুর বৃষ্টি হবে
মসজিদ আর মাদরাসার জোরে পাপকে ধুয়ে দেবে
ঘরের ছেলে সেলিশ পাশা উমর অনুসারী
তারই শানে গজল হবে ইসলামী কারবারী
আজকে থেকে এই আখ্যান পর্ব হলো সারা
উড়ে চল আর গোলার্ধে লুকিয়ে রূপ চেহারা
নতুন কোন রাহমান বা বোগদাদী স্টেটে
আইলানদের পায়ে দলে এরদোয়ানের কাছে
চলতে থাকুক উড়তে থাকুক আমার তাতে কি
আমার আছে ওড়ার পাখা অসীম আকাশ দেখি
হাত দিয়ে যাই মেঘের গায়ে ছুঁয়ে আলোর রেখা
নামুক আঁধার পৃথিবীতে হারাক সূর্য একা
আমি ছুটব মেঘের উপর আকাশ গঙ্গা বেয়ে
দাবানলে পুড়ুক জঙ্গল তুষার আসুক ধেয়ে
যাক গলে যাক মেরুর বরফ গ্লেসিয়ারের স্তর
বাড়ুক যত তাপমাত্রা আমার শীতল ঘর
সাগর জলের উচ্চতা যাক যতই উর্ধ্বে উঠে
এসব চিন্তা করার জন্য কত পাগল জোটে
স্বল্প আয়ূ নিয়ে আমার জন্ম পৃথিবীতে
এত চিন্তা-ভাবনা করে পড়তে চাই না গিঁঠে
মেঘের উপর যখন খুশি ভেসে দুলব পা-টা
চেয়ে দেখব বুর্জ খলিফা মক্কা ঘড়ির কাঁটা
আমার দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে প্যালেস্টাইন রাকা
সারা শরীর ব্যস্ত হলেও মগজ থাকবে ফাঁকা
আগে ছিল এখন আছে থাকবে আগামীতে
বউ বাচ্চা পোলাপাইন বাঁধবে জুতোর ফিতে
এসব করেই একটি জীবন ঠিক ই যাবে কেটে
খুব সহজেই পেরিয়ে যাবো তাদের .......চেটে
এটা আমার রক্তে মেশা বহু কালের দূষণ
ছিলাম নাকি ষন্ডা মুন্ডা হাড়ি ডোম বা দ্যুশন
হাবসী দেশের গায়ের বরণ, ঠোঁট চুল মুখ নাকে
জেল্লা বাড়াই পাল্লা দিয়ে ভাবি কে তা দ্যাখে
পোষাক আশাক চলন বলন খামতি মোটেও নাই
বছরান্তে বিলাস সফর বোনাস সময় পাই
সে সব দিয়েই ভানভাসি হই ভাটির দিকে যাই
বাইবেল বা বুদ্ধমন্ত্র কিংবা বেদের বুলি
কোরান ছাড়া আমার কাছে সবই কয়লা ধুলি
এই আমাকে খামাখা ক্যান শোনাও নাস্তিকিয়া
বেশ আছি এই আল্লাহ্‌ নিয়া সঙ্গে বন পাপিয়া
আমার স্বরাজ আমার দেরাজ রয়েছে সংহত
তোমরা কেন চেঁচাও, বাড়াও জীবনের কাল ক্ষত
মনের মত বাঁচুক সবাই ভীষণ ভালো থাক,
আমার সফর শুভকাঙ্খীর সকল দোয়া পাক।।


বট ও পাকুড় (চর্বিত চর্বন)/ঢাকা।
১০ জইষঠ ১৪২৩/মঙ্গলবার/২৪ মে ২০১৬।