এমন দফা কে শুনেছে কথায় এবং কামে
ছয় দফতেই দফা রফা, কফিন গোরে নামে।


প্রথম দফায় ভোটের কথা, সার্বজনীন ভোটে
সব মানুষের সমান মতের প্রতিচ্ছবি ফোটে
দুই রাষ্ট্র এক কাঠামো লাহোরের প্রস্তাব
সংবিধানে বা সংসদে স্পষ্ট করো সব।


দ্বিতীয় দফায় দেশ রক্ষা এবং বিদেশ বিষয়
দেখবে কেবল কেন্দ্র নামের সরকার মহাশয়
আর সকলি চলে যাবে ফেডারেট স্টেটে
এমন কথা শুনলে মগজ আপনা আপনি ফোটে।


তৃতীয় দফা পকেট রফা মুদ্রা পৃথক হবে
তা যদি না করতে পারো টাকার বাড়ী হবে
আকাশ পাড়ি দেবে না সে থাকবে নিজের ঘরে
রুপীর আসন নেবে টাকা মুদ্রানীতির জোরে।


পরের দফা রাজস্ব আর খাজনা পাবে ফেডা
কেন্দ্র পাবে দেশ চালাবার যৎসামান্য চাঁদা।


পঞ্চমটা খটমটে আর অার্থনীতির ভারে
পশ্চিমাদের মাথার চুলকে হঠাৎ খাড়া করে
আল্‌দা হিসাব, আলগা হবে, কেন্দ্র হতে দূরে
দুই দেশেতেই খাজনা দেবে নির্ধারিত হারে।


শেষ দফাটা মানলে পরে আর থাকে না কিছু
আমার দেশের ছোকরা ছেলে ছাড়বে না আর পিছু
দুই দেশেতেই পৃথক সেনা আর কিছু থাকে না
এই দফাতেই অক্কা পেল পাকিস্তান নিশানা।


পঞ্চাশটি বছর গেলেও হিসাব আজও বাঁকী
খাতা আমার খোলা আছে, তাতে টালি আঁকি
কে পেয়েছে কে দিয়েছে আরো পাওনা কত
আজকে দেখি কোর্টের রায়ে শুকাচ্ছে সেই ক্ষত।


আজো তারা দু’পায় খাড়া চলছে যুদ্ধ রোজই
ব্লগার থেকে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ধর্ম রাজি
সবখানেতে অনাচারের চূড়ান্ত এক শা
মরা কাছিম দাফন হবে, আকাশটা ভ্যাপসা।


নোংরাটাকে পুঁতে ফেলে দেশকে শুদ্ধ কর
এসো সবাই আমার সাথে কণ্ঠ মেলে ধর।।


বট ও পাকুড় (নিমজ্জন)/ঢাকা।
২৩ জৈষ্ঠ্য ১৪২৩/মঙ্গলবার/০৬ জুন ২০১৬


ঐতিহাসিক ছয় দফাঃ বাঙালীর মুক্তি সনদ।