সমতল খুঁড়ে প্রশ্ন তুলে আনি, প্রশ্ন ঝলকে ওঠে নাঙ্গা তরবারীর মতো,
ঝলকে বিমর্ষ হয়ে পড়ি, এত দামী প্রশ্নের উত্তর না জানি কত দামী!
মূল্য কি দেব এর? এত সামর্থ্য কি আমার আছে? ভেবে কূল পাই না।
তখনই তরতরিয়ে সূর্য পাটে নেমে যায় শিকারী ডুবুরীর মতো
তুলে আনে শত শত পিস্তল, রইফেল, বিভলবার, গ্রেনেড, ম্যাগজিন
ভর সন্ধ্যায়, খানা-খন্দ ডোবা থেকে, তখনই কেউ
বেরিয়ে পড়ে উত্তর সন্ধানে- সাথে সশস্ত্র হাত ও বাহু
সে রাত পূর্ণিমা ছিল না, ছিল না অমাবস্যাও, তবু কিছুই দেখা যায় না চোখে।


সে আমার বন্ধু ছিল না, ছিল না বন্ধুর বন্ধুও, বরং শত্রুই ছিল বেশি
তার চোখে খুঁজে পেতাম কৃষ্ণগহ্বরের নিশানা, অথবা যক্ষের ধনের ঠিকানা....
না আর পাওয়া হলো না। একটি প্রশ্ন উত্তরহীনই রয়ে গেল, আরো
অনেক প্রশ্নের প্রসূতি হয়ে। রাতের শিয়র বেয়ে চাঁদ ঢলে যায়
বৈতরণীর দিকে, উত্তরহীন বাহু ও হাত অস্ত্রহীন স্ট্রেচার বয়ে ফিরে আসে
প্রশ্নের শবদেহ....উঠোনে, ভার্চুয়াল জগতে ও প্রশ্নকর্তার কপালে।


আবার অপেক্ষা আরেকটি টাটকা তাজা প্রশ্নের জন্য খনন এবং খনন।
জানি না সেবারও উত্তর পাবো কি না! নাকি এভাবেই
একদিন সবগুলো হাত ও কোদাল একাকার হয়ে যাবে!
প্রশ্নের বদলে প্রশ্নকারী বা প্রশ্ন হন্তারকের সমাধী রচনা করবে।
তার আগে আমার মৃত্যই হয়তো প্রশ্নেরও মৃত্যু ঘটাবে।


বট ও পাকুড় (ভুল স্বপ্ন)/ঢাকা।
১৮ জুন ২০১৬/শনিবার/০৪ আষাঢ় ১৪২৩।