বৃষ্টি নেই কান্না নেই, তবুও মন কাঁদে
অদেখা এক দুঃস্বপ্ন ছাদে ঝুলে থাকে
ভেজা ভোরের মিষ্টি আলোয় সারা রাতের জড়
দু’টি হাতের মিলন ক্ষেত্রে একটু জমা করো
কী দেখছ? কিছু আছে? মুছে গেছে সব?
না না, সেটা হারিয়ে যায়নি, হয়েছে নীরব।
হাতের তালুয়, জমাট ভাঁজে জমে আছে যেটা
দুঃখ নয়, গ্লানি নয়, প্রেমের টেরাকোটা।
কতটা রাত নিভে গেছে দিনের আলোর ঘায়ে
কত ক্লান্তি, স্বেদ ও বৃষ্টি লুটায় তোমার পায়ে
সে সব রাতের কাছে এ রাত তেমন কিছু নয়
এখন রাত্রি আনে আমার ঘুমের ঘরে লয়
আলোর ধারার বিভঙ্গ প্রেম সুরের ধারায় মিশে
বিষাদ রাতের কথকতায় ভোরের কিসসা মিছে
বেঁচে থাকার শতেক রূপে এ ভোর ম্রিয়মান
হাওয়া কাটা পাখির নৃত্যে গাই জীবনের গান।
যে শিশু আজ এই প্রভাতে এলো মাটির কোলে
সে শুনে যাক এই কবিতা পূর্বসূরীর বোলে
গড়িয়ে গড়িয়ে রাত পেরিয়ে তোমার জীবন পথে
এ রকম রাত আসবে আবার যাবেও ভেসে স্রোতে।
পৃথিবীটা নয় কিছু এক আহামরি গ্রহ
এর ঐশ্বর্য্য ভালোবাসা বিরহ বিদ্রোহ
এসব নিয়েই একটি জীবন বৈতরণীর দিকে
এমন করেই চলে যাবে, বলছি, রেখো লিখে
জীবন ঘষে সময় সাগর সেঁচে আনা সোনা
তোমার জন্য এ উপহার, অক্ষয় আলপনা।।


বট ও পাকুড় (বিনিদ্র)/ঢাকা।
০৮ আষাঢ় ১৪২৩/বুধবার/২২ জুন ২০১৬।