আসলে আমি সব কিছুতেই ভুল বুঝি।
মানুষকে যতটা আপন ভেবে আস্তিনের মতো
নিজের বাহুর সাথে জড়িয়ে নিই,
মনে করি যে, অধিকার পেয়েছি-
আসলে পাইন তার কিছুই-সবই ভুল।
তবুও কেন যেন ভাসমান খড়কুটোর মতো
পৃথিবীর এই উত্তাল সাগরে আঁকড়ে ধরি
এইসব ‘অধিকার না দেয়া’ মানুষকে।


ইচ্ছে ছিল না অন্যের জীবনের কষ্টটুকুকে
অনুভব করব না, বাড়িয়ে দেবো না
সহানুভূতির দুর্বল অকম্পিত হাত;
ইচ্ছে ছিল না ভাবতে দ্বিধাগ্রস্ত হবো
কারো ঠুলি পরা চোখকে, বিভ্রান্ত পথকে
অাঙুল উঁচিয়ে দেখিয়ে না দেবার,
কিংবা পরিচ্ছন্ন সরল সড়কে না ডাকবার;
তবু এখন
এসবের জন্য মনকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে।


ইস্পাতের মতো মনের মেঝেতে
কয়েকটি আদুল মার্বেল গড়িয়ে দিয়ে
ছোট ছোট শব্দের অভিঘাত সৃষ্টির
যে এক চিলতে আনন্দ......
পাইনি কখনো, তাই-
মাঝে মাঝে পৃথিবীর নির্মম প্রকান্ড দেরাজ খুলে
এই আনন্দের উপকরণ চোখ ভুঁজে তুলে নিই।
এখানেই করে বসি ভুল, নিজেই মার্বেল হয়ে
গড়াই কোন কোন রুক্ষ (মনের) মেঝেতে;
কারো স্বপ্নের বাগানে ভুল করে গুল্ম হয়ে
ফুটতে যাই, আগাছা হিসেবে গণ্য হই
উপড়ে ফেলে ঘেরাটোপের বাইরে।


ভুল মাটিতে ফুলের স্ফুটন হয় না
আমার শিশুতোষ ভুল চিরায়ত হয়ে ওঠে।


বট ও পাকুড় (ফিরে দেখা)/ঢাকা
০৭-১০-১৯৯৩/রাত ১০.৫০/সূসেহ/ঢাবি
১২ আষাঢ় ১৪২৩/সোমবার/২৭ জুন ২০১৬।