দখিন হাওয়ার জানালা, রূপালী ঝালর দোলে চঞ্চল বাতাসে
তবুও কারো মন কখনো গোপনে কাঁদে আশ্চর্য্য হুতাশে।
সিলিং এ কারুকার্য্যময় উডেন প্যানেল, বাগানে মার্বেলের
আবক্ষ অপ্সরা, পায়ের কাছে জমে ওঠা ঘাস
কাউকে কাউকে মনে করিয়ে দেয়, ক্ষণজন্মা জীবনের কথা
অর্থহীন এসব আয়েশী-বিলাসী আয়োজন, পরিপাটি সাজ।


কাছিয়ে আসা মৃত্যুকে বরণ করতেই আবার কেউ কেউ
আড়ম্বরপূর্ণ এন্তেজাম করে, বাড়ির পাশে পুকুরের ঘাটে
গড়ে ওঠে আকাশচুম্বী মিনার, যেন আল্লাহ্‌ তার মসজিদের
আযানের ধ্বনি শোনেন, পাশের মসজিদটিও তিনি
নির্মাণ করেছেন অনেকখানি সঞ্চয় খরচ করে;
সুউচ্চ মিনার, মিনারের গায়ে ইতালী মূল্যবান পাথরের
মসৃণ আলোক প্রতিফলনশীল আস্তর, ছাদের উচ্চতা থেকে
ঝুলতে থাকা শ্যান্ডেলিয়ার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রার্থনালয়।
এত বৈভবের আয়োজন, তবু নিভৃতে মনের কোণে
টের পায় কালো ছায়ার মতো কল্পিত ভয়ের আনাগোণা।


মৃত্যু-তাকে যত মহিমান্বিত করাই হোক না কেন, তার
রূপ স্থির অপরবির্তনীয়, মাথা নেয়াতেই হবে তার কাছে
হও হত দরিদ্র, সম্রাট, মাফিয়া অথবা দেপসারী কোন।


অভিজ্ঞান-৮
০৭ আগস্ট ২০১৬/রবিবার/২৩ শ্রাবণ ১৪২৩/ঢাকা।