যাচ্ছে, একটি করে দিন, গুণছি না, তবু গোণা হয়ে যাচ্ছে
খোলা আকাশ, উন্মুক্ত ময়দান সঙ্কোচনশীল, হাওয়ার ঝাপটা
ক্রমশঃ স্তিমিত হয়ে আসছে, ঝাপসা এখন বাই ফোকাল লেন্স
ইট কাঠ পাথর রেডিও টিভি পেপার ব্যাঙ্ক বীমা রাবেতা ইসলাম
থেকে যাচ্ছে আমি হীন, আমি হচ্ছি তুমিহীনা, বিবর্ণ ধূসর মরুময়।
ভুল নেতৃত্বে, ভুল প্রণয়ে মজে অনেক লালা ঘাম ঝরিয়ে গড়েছি
মনের মত রংমহল, তোমার মজমায় ঝাড়বাতি আর ঝঙ্কারময় করেছি
আখেরে মিলেছে পূণ্যপাতে কঙ্করময় দানা, বন্ধ হয়ে অাসছে পানা-খানা।
প্রত্যাবর্তনহীন পথের অবশ্যম্ভাবী যাত্রী, পৃথিবীময় ঘুরে তুলে এনেছি
আবর্জনার গহনা, ক্ষমা চা’বো? নাকি চা’বো না, দ্বন্দ্ব দূর হয় না।


সময় প্রয়োজন তাই, ফুরিয়ে আসছে পুঁজি, স্ত্রী-পুত্র-পরিজন
সব থেকে যাবে, ঠোঁটে পবিত্র শব্দ জপ, হাতে পবিত্র জপমালা
যতই ইতিউতি করি, এ গ্যাঁকল থেকে আর ফেরা হলো না।


সামান্য কিশোর এক, জসীম, কবে খেয়েছে কর্ণফুলীর শুশুক
তার রক্তের এ কী যন্ত্রণা! হা, ঈশ্বর..রক্ষা করো, প্রতিটি রাত কেন
একেকটি নরক যন্ত্রণা, দিনের পর দিন এ বোকামী আর সয় না!


যদি খোকন আর বাচ্চুর মতো পাকসারে ঠাঁই খুঁজতাম
আজকের এই দুর্দশা পোহাতে হতো না,
মস্তিস্ক যে কেন প্রয়োজনের মুহূর্তে কাজ করে না!
আলো চাই না আর, আর যেন কোন ভোর আসে না।