দুর্গা কেন এলেন আবার চলেও গেলেন ফিরে?
আনলেন কি, রাখলেন কি, কী-ই বা গেলেন ছেড়ে?
কি ছিল তার নেয়ার কথা? কি ছিল রাখবার?
পূজো শেষে কী অবশেষ, কে আছে দেখবার?
কেনো এলেন ঘোড়ায় চলে নক্ষত্র কি বলে?
বাহন বদল করার জন্য প্রচেষ্টা কি চলে?
গজ ছাড়া নৌকো, ঘোটক, দোলার কি দরকার?
জানেন তিনি আরো জানেন আদিত্য সরকার।


ফি বছর তো আসেন তিনি, দুর্গতি নাশ শেষে
ভাসিয়ে চলে যান আমাদের আশ্বাসে আশ্বাসে!


যাবার পরে মন্দিরেতে ভাংছে যে প্রতিমা
ধর্মষন্ডা কল্লা নিচ্ছে মা কি তা দেখেন না?
হাত পা তুলে, মানব ভুলে ঘুমোন বছর ভ’রে?
তবে কেন আছেন হাতে  ব্রহ্মাস্ত্র ধরে?
বিষ্ণু কি শিব, ইন্দ্র তেজের প্রবাহ নিস্তেজ
উগ্রচণ্ডা, ভদ্রকালী দুর্গার কাল শেষ?
বয়সভারে জর্জরিত, আর চলেনা বাহু
মরে না আর মহিষাসূর, মরে না আর রাহু!


এসব প্রশ্ন রাখতে মানা, মর্যাদা নেই বলে
মূর্তিভাঙ্গা বাহিনী এর মজা নেবে তুলে।


তারচে’ ভালো আসুন করি অাদিত্য বন্দনা
যার করুনায় দেবীর পায়ে পার্থিব ভঞ্জনা
পূজো করি মহাশক্তি যায় না ছোঁয়া যাকে
মানব জাতির ধারণারও বাহিরে যে থাকে
অথবা হয় খুবই ভালো জানি যদি সব
নক্ষত্র ফেলছে প্রভাব, বাড়বে বিপদ, ক্ষোভ
ঘটার আগেই হোক সমাধান, সেটাই সবচে’ ভালো
এই পৃথিবী মানবিক হোক, মনে আলো জ্বালো।


১১ অক্টোবর ২০১৬/২৬ আশ্বিন/মঙ্গলবার/ঢাকা।