কোন এক মায়াবিনীর আহ্বানে একাত্মতা
খন্দকার আরশাদুল বারী
ভোরের স্নিগ্ধ আলোয় হাঁটছিলাম
অনেকদিন পর
সেই একই রাস্তা ধরে
ফজরের নামাজ শেষে
রাস্তার পূর্বধার ঘেষে
বারবার মনে পড়ছিল সেই দিনের কথা
কখনো তুমি সামনে
কখনও পেছনে
আবার কখনো বা ঠিক হাতের বাম পাশে
আমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে হাঁটার চেষ্টা
হয়তো মনের অগোচরে কোথাও
লুকানো ক্ষুদ্র বাসনা
আমার সনে হাঁটতে নিয়ে
তোমার হাতের স্পর্শে
যদি আমার হৃদয়ে প্রেম জাগে!
মনে পড়ছে সেদিনের কথা যেদিন
স্নিগ্ধ আলোয় স্নিগ্ধ বাতাসে তুমি
সেই স্নিগ্ধতার বাণী শুনিয়েছিলে
ভালোবাসো আমায়।
বলেছিলে , যেদিন প্রথম দেখেছিলে
সেদিনই মনের খাতায় লিখে রেখেছিলে ।
বলবে বলবে করে বলা হয়নি
চলে যাবার আগেই বিদায় বেলায়
সেই না বলা কথাটি আর গোপন রাখতে চাও নি
ভোরের স্নিগ্ধতায় মনের সরলতায়
সবচেয়ে মধুর শব্দ দুটি বলেছিলে সেদিন
ভালোবাসি আপনায় ।
সেদিন নিশ্চুপ থেকে ছিলাম
তোমার ভালোবাসার প্রতিদানে
ভালবাসি বলতে পারিনি ।
মনের ভিতর লুকানো গোপন কথাটি
গোপনেই রয়ে গেছে
আরো শত সহস্র বছর হয়তো এভাবে
কোন নিঃসঙ্গ প্রেমিকের মনের বাসনা
অন্ধকারে পথ হাতড়াবে
কোন মায়াবিনীর উদাত্ত আহ্বানে
সাড়া না দেয়ায় নিজেকে কোচাবে
হয়তো কোন স্নিগ্ধ ভোরে
ঘাসের ডগায় দুফোটা অশ্রু ঢেলে
সেই আহ্বানের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করবে।