শান্তির দূত
খন্দকার আরশাদুল বারী
অনাচারে পূর্ণ ছিল দুনিয়া যখন
শান্তির বাণী মুখে নিয়ে প্রিয় নবীর আগমন!
বাপ গেছে পেটে থাকতে
মায়ে গেছে যখন ছয়,
দুধ মাথার দুধের ধারে
শিশু নবী বড় হয়।
আটে গেল দাদা তাহার
চাচার কাছে মানুষ হয়
দেখতে দেখতে সতেরো বছর
কেমনে যেন চলে যায় ।
হিলফুল ফুজুল গড়ে
ডাক দেন শান্তির
যুবকদের সঙ্গে করে
গড়তে চান স্বপ্ন নীড়!
পঁচিশেতে পরিচয় মা খাদিজার সনে
চল্লিশেতে হেরা গুহায় বসেন তিনি ধ্যানে ।
বকলম ছিলেন তিনি
আল্লাহ নিজে শিখালেন ,
আরশের ঐশী বাণী
কালবে তাহার মিশালেন ।
দ্বীন প্রচারের তরে নবী
তায়েফেতে গেলেন
রক্তে ভিজলো পা দুখানি
হাত তুলে ক্ষমা চাইলেন।
মক্কাবাসীর অত্যাচারে মদিনাতে গেলেন
দশ বছর পরে তিনি মক্কা বিজয় করেন,
ক্ষমা করেন হাসিমুখে
বলেন সবাই ভাই ভাই
শান্তির পতাকা তলে
সকলের হয় ঠাঁই ।
তেষট্টি বছর বয়সেতে মৃত্যুবরণ করেন
দাফন বিনে তিনদিন জমিনে রইলেন।
রওজা নবীর মদিনায়
শিক্ষা সারা দুনিয়ায়
শান্তির ধর্ম আনলেন ধরায়
মানবতার বিশ্ব জয়।
প্রার্থনা করি বিধাতায়
শান্তির সুবাতাস বয়ে চলুক বসুধায়!