আছি তো মোরা চিড়িয়াখানায়, বাঘের ভয় কী ?
শুধু আমরা আছি খাঁচার ভিতর, বসে বাঘ দেখছি।
বাঘ ঘুরছে বাইরে আর দেখছে নানান মানুষ,
এতেই রাজ্যবাসী বেজায় খুশি,আর হবে না খুন।
জেলার বাবুর বুদ্ধিতে, বেঁচে আছি কোনো মতে,
আবার যদি আওয়াজ ওঠে, বাঘ মামাদের ঘুম ছোটে,
জেলার বাবুকে শাসিয়ে যায়,তোর কথায় ছেড়েছি ওদের,
প্রাণের ভিক্ষাও দিলাম,তাই এত বার বেড়েছে এদের।
জেলার বলল অপরাধ নেবেন না,আপনাদেরই তো চিড়িয়াখানা,
কে বলবে আপনাদের কিছু,কে করবে আপনাদের মানা।
বন্ধুক ধরেছি ওদের বাচাতে থোড়াই ;
গুলি চলবে,আপনাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই।
এরম ভাবেই চলছিল সব কেও পায় নি টের,
মানুষ নাকি এতেই সুখে, শান্তি পেয়েছে ঢের।
কিন্তু হঠাৎ দমকা হাওয়ায়,খাঁচার দরজা গেল খুলে,
জেলার মশাই বসে আছেন,কিন্তু বার বার পড়েছেন ঢুলে।
ঝড়ের খবর কাগজে ছাপতেই,জেলারের টনক গেল নড়ে,
বাঘ মামারা আবহাওয়া বুঝে,পালালো সব দৌড়ে।
মিডিয়া-টিডিয়া ছড়াছড়ি, এ কী অবাক কান্ড !
খাঁচায় থাকা নিয়ে নাকি, মানুষ বাঘে দ্বন্দ্ব।
প্রশ্ন এলো, জেলার বাবু,মানুষ কীভাবে খাঁচায় ?
একটু হেসে উত্তর এলো, তারা নিজেরাই থাকতে চাই।
কেন, কেন ? এমন কেন ? কোনোদিন তো শুনিনি এসব!
মানুষ আছে বাঘের খাঁচায়, বাইরে বাঘের বৈভব।
মশাই আজ আপনদের ক্যামেরা আর মাইক্রোফোন হাতে তাই,
সেরম হলে আপনারাও বলতেন আমরাও থাকব বাপু খাঁচায়।
কেন বলুন তো,এই অঞ্চলে বাঘের বুঝি খুব ত্রাস ?
এখনও বুঝলেন না,তবে কেন আমি বাঘের দাস ?
এবার সরুন তো আমার কাজ আমায় করতে দিন,
খুঁজব তাদের,যারা বলেছিল এবার একটু বাঁচতে দিন।
একটা প্রশ্ন ছিল,মানুষগুলোর কী ভাবে ভরসা ফিরবে ?
অত জানি না,আমার কাজ করব, তারা যা ভালো বুঝে করবে।
জেলার মশাই বাড়ি-বাড়ি আশ্বাস দিল,ভয় পাবেন না আমরা এসেছি বাঁচাতে।
বাড়ির ভিতর থেকে কে বলে উঠল,আমাদের নয়,আপনি এসছেন আপনার চাকরি বাঁচাতে।