ছোটবেলায় বুঝিনি তেমন,কী ছিল সমাজের অভিসন্ধি;
এখন অভ্যস্ত বাড়ির চার দেওয়ালই, জানি থাকতে হবে বন্দী।
আমরা ওরা তফাৎ হলো,কোনোরকমের যৌন শিক্ষা ছাড়াই,
জোর করে মনকে বোঝাতে হল,ছেলের সাথে বন্ধুত্বে,আর যেন না জড়ায়।
একটু যখন বাড়ল বয়স, নারী-পুরুষ জন্ম নিল,
অ্যাডাল্ট হয়েও,নিজের মতকে প্রকাশ করাই চ্যালেঞ্জ ছিল।
আইনকানুনের ধারধারেনি,এ সমাজই নিদান দাতা,
ছেলের জন্য খোলা আকাশ,মেয়েদের মাথায় ছাতা।
এতদিনের যারা খেলার সঙ্গী,যাদের সাথে হাসি-কান্না ভাগ করেছি,
আজ তাদেরকেই এরিয়ে যেতে হবে,কারণ মেয়ে হয়ে জন্মেছি।
যাদের টিফিনে ভাগ বসাতাম,যারা আমার টিফিন খেতো কেড়ে,
কেমন যেন সব পাল্টে গেল ,হারিয়ে গেলাম মৃতের ভিড়ে।
ফোন এলেই আড়ি পাতা,শুরু হলো নিজের বাড়িতেই,
বেড়িটা আরও কষে বাঁধল,ওপার থেকে ছেলের গলা পেতেই।
তার ওপর,পাড়ার কোনো মেয়ে পালিয়ে গেলে,হতো আমারই দোষ,
জানি না কী দোষ,তবে ছোটো ছোটো ইচ্ছে গুলো করত আফসোস।
কোনো ছেলে আমার পিছু নিলে,আমার বেরনো বারণ,
ছেলেটা হয়তো আজ অন্য কারো পিছনে,আমিই বন্দি অকারণ।
আমার জামায় কতোটা ফাঁকা, কতোটা আমার শরীর ঢাকা,
সমাজ নামক মাপকাঠিতে,শরীর ছুঁইয়ে মেপে দেখা।
বিয়ের বয়স ঠিক হতো সব,পাত্রের খোঁজ এলেই,
মনের পরোয়া কেউ করেনি,চাপিয়েছে সুযোগ পেলেই।
একে-অপরের মন কাছে আসতে না আসতেই,দেহের ঘটল মিলন,
ওতেই সমাজ স্বিকৃতি দিল বৈধতা বলে,সত্যিটা জানে শুধু আমার মন।
জঠরের ব্যাথার ভাগ নেয়নি কেউ, তবু নাকি ছেলে তার,
মনটা আজও পারিনি ছুঁতে,লালসায় খুলেছে দেহের দ্বার।
আমার কথায় একে ধর্ষণই বলে,যেখানে দেহের মিলনই সার,
হৃদয়ে যখন ,এখনও অতীত,কীভাবে হলে তুমি আমার ?