যাব যেদিন পৃথিবী ছেড়ে,ঘিরবে অনেক মায়া,
তব  পানে তাকিয়ে থেকে,রয়ে যাব তব ছায়া।
বাঁধনটাকে টেনে ছিড়ে,লুকিয়ে যাব মৃত্যুর ভিড়ে,
খুঁজবে সেদিন সবাই জানি,তবু ভিজবে নাকো চিড়ে।
কত যে আঁখি ভিজিবে জলে,কত চিনিবে আমায় খলে,
দুদিন পরে যেমন ছিল,ফিরিবে আবার কাজের ছলে।
বৃথা নিজেরে মায়ায় জড়িয়ে রক্তের টানের দোহাই,
আঁখিও সেদিন চির বিশ্রামে,শায়িত ফুলসজ্জায়।
সেদিন খুজবে আমায় সবাই, কর্মে নাকি ধর্মে ?
আমি ছিলাম না যেমন, মানুষ বুঝবে সেই মর্মে।
ভুলের বোঝা বাড়বে সেদিন, আকাশ হতে দেখবো,
হয়তো কাছের মানুষ গুলোকেই নতুন করে চিনবো।
কেউ বানাবে গান্ধী আমায়, কেউ বা গড়বে সুভাষ,
কারোর কাছে জীবন্ত লাশ,কারোর আবার হবো উপহাস।
সারা জীবনে রঙ না মেখেও,সবাই করবে আমায় রঙিন,
মানুষটা বড়ই ভালো ছিল,ভোটটা আমায় দিন।
লাশেও যে কত লালসা, সেদিন দেখবে তুমি,
আমায় কেমন শহিদ করে,কিনবে নিজের জমি।
যাইহোক,এ আমি তো সেই আমি নই,আমি তো রাজার দাস,
রাজার মতো ললাটে মৃত্যু থাকলেও,লাশটা নয় খাস।