আমরা বাপু সেকুলার, এটা আমি নয়;সংবিধান তো তাই কয় ,
মেজরিটি-মাইনরিটি থাকতেই পারে, সেটাও হয়তো একপ্রকার সেকুলারিজম হয়।  
জাতির মাঝে জাতের বিভাজন, অসাধারণ তার বিন্যাস,
দাদুর দাদু করেছে শোষণ,তাই বর্তমান প্রজন্ম হোক দাস।
তৃষ্ণার্থ পথিক পথেই মরে যাক, কিন্তু নিজের জাতটা গেলে চলবে না,
হিন্দু হোটেল,মুসলিম হোটেলে জল পানি আছে,তাতে তৃষ্ণা মিটবে না।
ছেলেটা অতি দরিদ্র পরিবারের,বাবা পুজো করে যা পায় তাতেই সংসারটা চলে,
কিচ্ছু চায়নি কারোর অধিকার থেকে, ষশুধু নিজ যোগ্যতায় যদি কপালটা খোলে।
কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটি,তারপর জব, সবেতেই প্রতিযোগিতা,
যোগ্যতা থাকলেও, সে তো পয়তেধারি,সম অঙ্কেও প্রাপ্তি ব্যর্থতা।
সমানতা আনতে সংবিধান প্রণেতা দশ বছরের জন্য একটি প্রস্তাব দিয়েছিলেন,
তিনিও হয়তো জানতেন না,নেতারা ভোটের দাস, ভোট ছাড়া আর কি বুঝবেন !
সংরক্ষণ যেটার দরকার ছিল, সেটা কোথায় আর হলো
মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব ভাতৃত্ববোধ,সব কোথায় হারিয়ে গেল!
মানবাধিকার আয়োগ আছে,ওনারা নিজেরাই সেই অধিকারের অধিকারী নয়,
তাই নিরপেক্ষ শব্দটা শুধুই কি গালভরা হাসি,নাকি কোনো বিশেষের বিশেষ অর্থ হয় ?
জাতির মাঝে জাতের বিভাজন বন্ধ হোক,কমুক প্রকৃত দরিদ্রের কপালের দুর্ভোগ।
সকলের জন্য সমানতা আনতে,সরকারের ভোটমুখী নয়,দৃষ্টান্তমূলক গঠনশীল ভূমিকা হোক।