বস্ত্রহরণ আগেও হয়েছে, সেই মহাভারতের জমানায়,
তখন তো ছিল কৃষ্ণ সাথে, এখন কে নেবে এর দায় ?
সন্দেশখালির ঘটনা যেন কোনো সুপ্ত আগ্নেয়গিরি,
প্রকাশ আগেই ঘটতো, শুধু সময় করল দেরি।
নেতা রূপী অভিনেতা সব, ব্যস্ত সমাজ সেবায়,
দিনে কন্যাশ্রী নিয়ে গলা ফাটায়,রাত্রে কন্যা বিছানায়।
ক্ষমতার দম্ভে,লালসার সুরসুরিতে, হারানো নারীর সম্ভ্রম,
রাজার রাজ্যে এমনই নীতি, প্রতিদিন নতুন নারীতে মন।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে, বউকে হতে হয় দাসী,
এমনই নাকি শর্তাবলী, বলছে সমগ্র গ্রামবাসী।
এই যুগেতেও এসব হচ্ছে, নাকি মধ্যযুগেই আছি ?
যেখানে নারীর সম্ভ্রম ভূলুণ্ঠিত,কাপড়ে বসে মাছি।
খুঁজছে পুলিশ ধৃতদের,এটাই সবাই জানে,
এখন তারা ক্লান্ত হয়ে,তাকিয়ে রাজার পানে !
রাজা বললেন তাকিয়ে কেন,আমি তো দিয়েছি অর্ডার,
পুলিশ কী করবে,বি.এস.এফের হাতে বর্ডার।
ভেবে দেখছেন, এতকিছুর পরেও মানুষগুলো কী পেল ?
সেই রাজা,তারই প্রশাসন,দুদিন পড়েও কী পরিবর্তন হলো ?


সব শেষে বলি,আমি কোনো দলে নেই,দল বদলেও নেই,
মুক্ত চিন্তার মানুষ আমি,গলা টিপলেও,রয়ে যাব অতীতের পাতাতেই।