১.
কাঁচবৃষ্টি হচ্ছে। সেই সূর্য ডোবার পর থেকেই। চাঁদের গায়ে আজ ঘুমকুমারী রেশমি পর্দা। অগনিত নক্ষত্ররাজগন অযুত কোটি হাত লম্বা রেশমি পর্দা জড়িয়ে মগ্ন হয়ে আছে, কাচ বৃষ্টি দেখবে বলে। কাঁচ বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সূর্য ডোবার পর থেকেই। নগরে হুটোপুটি-লুটোপুটি কাঁচবৃষ্টি হবে বলে। পথে থেকে প্রাসাদে অপরাধ জড়িয়ে থাকে, পাপের মুখোশ থাকে প্রতিটি লোমকূপে। কাঁচ বৃষ্টি ধুয়ে নিচ্ছে সব।



২.
ক্রুশ বিদ্ধ যীশু রোজকার মতো ক্যালেন্ডারের পাতায় ঝুলে আছে। যেন আজীবন ঝুলে থাকবার জন্যই জন্মেছিল। হাত উঁচিয়ে আঁধার চোখ নিয়ে বুদ্ধ বসে আছে সেই কবে থেকে। জানিনা কতকাল রবে। আছে অমর প্রেম যুগল রাধামাধব জানিনা আর কতকাল রবে। আরেকটা অবতার আসুক কিংবা নিরো বাঁশি বাজাক আর একবার।



৩.
এখনো উৎসুক হয় চোখ! চিঠিতে। দুর্নিবার আকর্ষন জাগে। তার গর্ভে কি আছে?
কথাগুলো বর্ণ থেকে শরীরে আসে। বাসা বাঁধে।
মনরোগ।
কি আছে এতে? উৎসুক জনতা, ধর্ষণের পর দুর্নিবার আকর্ষন। কামকলা কি আছে এতে? উৎসুক পিতা, কি আছে গর্ভে? বীজ বপনের একশত আশি দিন পর!


এখনো উৎসুক জনতা! কে মরবে এরপর? একদল মানুষ ধর্মান্ধ অপেক্ষায় রয়েছ যখন খুঁড়বে কেউ অজানা কবর!



"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
রচনাকাল:
মধ্যরাত -২ রা জানুয়ারী-২০১৪ খ্রিঃ
আত্রাখালি প্রেস, সুসং নগর