বোধের উপর কসটেপ মেরে
জীবন চালায় ঘোরে,
সারা দিনের ক্রিয়া-কর্মে
সিল মেরে দিই ভোরে।


তাঁজা বিবেক খুঁন করে থাকি
দরবেশের-ই বেশে,
আপদ বিপদ এড়িয়ে চলি
একটু খানি কেঁশে।


নষ্ট সমাজ নষ্ট-ই থাকুক
আমার তাতে কী?
কেউ তো আমায় দেয়নি ঢেলে
পাঁন্তা ভাতে ঘিঁ!


ঘরের শাপে ঘোরে কাটে
বাইরের সাপ মারি,
মূর্খের মতন যতন করে
সবখানে দি ঝাড়ি।


ঘরের ভেতর চলছে কী? বা,
রাখে কে তার খবর?
বিবেকের উপর খাড়া ঘা মেরে
অন্যায়ে করি সবর।


অযোগ্য আমি বুঝতে গিয়ে
সব লোকেরে ঠ্যাংগায়,
নিজের বাঁশ আবার নিজেই ভরে
অবশ থাকি ব্যথায়।


বিবেক বেঁচে বিবেক বিলায়
বুদ্ধির কেজি কত?
চিন্তা কিসের? লাইনে বসেন
আছে মণ শত।


হাঁসছেন কেন? দিনের শুরু,
করেন আমার মত,
অন্যের কষ্টে পেঁরেক মারুন
জাগিয়ে তুলুন ক্ষত।


আমার মতো জ্ঞানী লোকের
পরিচয় কি জানেন?
ভং চং ঢং পণ্ডিত মশাই
শুধু মনে রাখেন.............।


ভং চং ঢং মহাপণ্ডিতের আজ
মৃত্যু দিবস ছিলো,
নতুন করে জগত জুড়ে তাই
জ্ঞানবৃষ্টি হলো।


সেই বৃষ্টিতে ভং চং ঢং
মরে পথে ঘাটে,
বিবেকের সিল আপনে উঠে
ফিরলো নিজের বাটে।