সময় নামের দৈত্যটা
প্রতিদিন আমায় খাচ্ছে উদয়াস্ত,
ঘুম থেকে ওঠার পরেই
তৈরী হতে থাকি নিজেকে বিসর্জন দেবার জন্য,
এরপর আস্তে আস্তে সে আমার
বিবেক থেকে খাওয়াটা শুরু করে
বিবেক খেয়ে কোন মত নাস্তাটা শেষ করে।
দুপুর থেকে খেতে শুরু করে
আমার কল্পনার শক্তিকে,
আমি চিৎকার করতে পারিনা একটুকুও
শুধু যণ্ত্রনায় কুঁকড়ে থাকি,
দুপুরে তার পেট ভরে গেলে
ফেলে রাখে বিকেল এবং রাতের জন্য।
দুপুর থেকে ছটফট করতে থাকি
বিকেল পর্যন্ত,বিকেল হলে আবার সে
আমার হৃদয়টা খেতে শুরু করে,
আমি আর যণ্ত্রনা সইতে পারিনা।
নিজের চোখে দেখছি আমার বিবেক,
আমার কল্পনা,আমার হৃদয় খাচ্ছে
সময় শলার বেটায় ।
রাতের বেলায় সে আবার ক্ষুধার্ত হয়ে
অ্যানাকোন্ডার মত আমর মাথা থেকে
ধীরেধীরে গলধকরণ করতে থাকে,
আস্তে আস্তে সম্পূর্ন আমি চলে যাই
সময় নামের দৈত্যটার অতল গহবরে।