যদু মশাই সাহেব বড়
কথায় তার দারুণ তেজ
তেজে পুরে তেজপাতা সব
মোসাহেবে গুটায় লেজ।
মিষ্টি হাসে ক্ষণেক আবার
তীব্র রোষে ফারফার
অগ্নিচোখে ধ্বংস করে
অধীনস্তের হৃদয়পাড়।
যদু মশাই চলেন যবে
সবাই তারে সালাম দেয়
আড়াল হলেই খিস্তি ছোড়ে
বাটাম পেটে কল্পনায়।
সাহেব তিনি বড় সাহেব
আদেশ করেন সর্বদা
মোসাহেবের কর্ম এমন
দাস্যপ্রথার খর্ব না।
চটাং চটাং মুখের কথা
চাবুক হানে বাঁকে বাঁকে
অধীনস্ত দাসের মত
ধৈর্য্যশীলের নজীর রাখে।
এখন তো আর ডাকাত হয়ে
লুটে বন্ধি দাস নয়
ভুখের টানে স্বাধীন মানুষ
দাসের বেড়ি পায়ে লয়।
এমনিভাবে দাস না হলে
সমাজ নাকি গোনে না
আজব ধরায় আজব মানুষ
আপন ভালো বোঝে না।
বোঝে নাতো সাহেব মিয়াও
কত দিন আর রক্ত গরম
বুঝবে যবে শুভ্র চুলে
শরীর যবে ভাঙ্গবে চরম।