ঐ যে নীল দিগন্তে কালো মেঘের ঘনঘটা,
এখনি বুঝি জলদেবীর রূদ্রময়ী ইশারায়
ঝড়ের বেগে সারাদিন মেতে নামিবে বৃষ্টির ফোঁটা।
.
এস হে দেবী-
দু'হাত দাও বাড়ি এমনি বৃষ্টিময় মধুক্ষণে,
আমরা দু'জনায় মিলে ভিজিব, খেলিব পাশা
আহা ! কি যে রোমাণ্টিকতা সেই মধুর আলিঙ্গনে !
.
হে দেবী- তুমি তো জানো
আমি শুধু ভাবি আর তোমারি নামে লিখে যাই কবিতা,
খুঁজেছি তোমায় কৃঞ্চ মেঘের ছায়ায় আর বৃষ্টির ধারায়,
মেঘে-মেঘে তোমার ঐ শুনি বিকট বজ্র ঝটিকা।
হঠাৎ কানের পর্দাভেদী এক চিৎকার আর্তনাদে,
আকাশ-বাতাস কেঁপে মূহুর্তেই এপাড়-ওপাড় ছাড়িয়ে
বজ্রাঘাতে দুই কৃষক মরি পড়ি আছে ঐ মাঠে !
.
তৎক্ষণাত ছুটে আসি ঘরে ভয়ে বুক কাঁপে থর থর করে,
কি ভিষণ সেই বজ্রদেবীর চাহনী মনে হয় যেন অগ্নিগিরি,
বিছানায় শুয়ে চোখ বুজে দেখি কৃষক ডাকিছে ঐ দূরে !