রাতিন আর বাঁচেনি
-আসাদুর
মায়ের জন্য ঔষধ কিনতে গেছে,
দাঙ্গাবাজ ভেবে পুলিশ গুলি করেছে-
বন্দুকের বাট দিয়ে হাড্ডিতেও মেরেছে
লাশের স্তুপে ফেলে দিয়েছে, ভেবেছে মরে গেছে।


কথা গুলো রাতিন তার বাবাকে বলছে
হাসপাতালে যখন চিকিৎসাহীন রেখেছে,
ডাক্তার ডাক্তার ছেলের চিকিৎসা শুরু করেন
ওহ বি,বাড়িয়ার রোগী!
চিকিৎসা হবেনা, চলে যান বাড়ি।


ছাত্রদের আন্দোলনে নুরুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে
হাসপাতালে যেয়ে বলে আসে,চিকিৎসা দিবি নে।
খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-চিকিৎসা-শিক্ষা মৌলিক অধিকার
যাহারা রাস্ট্রের নাগরিক, তাদের দিবে সরকার।


ছিঃ রাস্ট্র ছিঃ তোমার পরিচালকরা এতো ছোটো!
অধিকার হতে বঞ্চিত করলে কেন?
অন্যায় করছে,আর আমার সাথে ত হয়নি
এই বলে তোমরা হাত গুটিয়ে বসে থাক।


রাতিন আর বাঁচেনি, তার কবরের পাশে
বাবা যখন দোয়া করে আর কাঁদে
পাশেই ছোট একটা  কবর দেখিয়ে বলে
ওটা রাতিনের ছয় মাসের বোনের কবর।
রাতিনের শোকে ম্রিয়মাণ সবাই
বাচ্চাটির যত্ন ঠিকমতো নিতে পারেনি
তখন নিউমোনিয়া হয়ে বাচ্চাটি মারা যায়।


বাঙালি বলে গর্ব করবেনা তোমরা
ইহাই কি ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে)