মানুষের ঘৃণাকারীরা তুমুল লাভের  ব্যবসায় নেমেছে --
তাদের অনুসারীরা বিবেক পায়ের নীচে রেখে -
লেজ নাড়ছে নিরীহ মানুষের মহল্লায় ,
বেনিয়া প্রভুদের নির্দেশমত তারা মানুষকে
কামড়াতে চায় ,কেটে ছিঁড়ে রক্তাক্ত করতে চায় সবকিছু ।
সব মানুষের রক্তের রঙ যেহেতু লাল !
সেজন্য  ..
তারা মানুষের পোশাককে চিহ্নিত করেছে...  
মানুষের খাদ্য রুচিকে পৃথক করেছে...
এমনকি মানুষের প্রার্থনার ভঙ্গীকেও তারা
শুঁকিয়ে দিয়েছে ঘাতক ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের পর্দায়  ,
তারপর থেকে-
এখানকার বাতাসে কেবল ভাদ্রের গুমোট
নিষ্ফল মেঘেদের গুমগুম আওয়াজ-
দিনরাত্রি অনেক সতর্কতা জ্বেলে পথ চলতে হচ্ছে ,
বলা যায় না ,কখন কোন অন্ধকার থেকে
ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে জলাতঙ্কের প্রমত্ত সারমেয় মিছিল ,
মানুষেরা সবই দেখছে ,আর ধৈর্যের গ্লাসে  
চুমুক দিয়ে জেগে আছে সারারাত ..
অমানুষদের একটা দল দ্বারবন্ধ অন্ধকারে বসে
প্রতীক্ষা করছে ,যেন কিছুই ঘটেনি ,
কিংবা যা ঘটছে তা ভালোর জন্য ঘটছে ... ।
হয়ত একদিন এই জলাতঙ্কের বিষ
পৌছে যাবে সব দরজায় ,তবু কেউ কি  
একা বসে থাকতে পারে ??
একটা প্রতিষেধকের কথা ভাবো-
একটা প্রতিরোধের কথা ভাবো ..
মানুষ পশুর হাতে  নির্যাতিত হচ্ছে--
বলো, তোমার কেমন অনুভূতি হচ্ছে.. ?
মানুষ পশুর হাতে অকারণ  মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত হচ্ছে
বলো ,তুমি দু:খ পাওনি ?
মানুষের অন্তরাত্মা পশুর দখলে চলে যাচ্ছে.. ।
বলো ,তোমার হৃদয় কি কখনো খুবলে খায় নি কেউ
যাকে তুমি একান্ত আপনার ভেবেছিলে ??
তুমি যে ধর্মের কথা বলো ,
আমি তার পোশাক দেখেছি ,
আমি তার কর্মকাণ্ড দেখে হতাশ ...
এবার আমি তোমাকে দেখতে চাই -
মানুষের মতো নেমে এসো এই ধুলায়..
হা-অন্ন ,নিরীহের  কাছাকাছি -
আমরা মানুষের সব্বাই, এখানেই বসে আছি .... !