একদিন নাটক করতে করতে
মহানায়ক হয়ে যায় ভিলেন
হয়তো সে জানেনা, জানে তার খোলস লাগানো ভুত
যাকে ভেবেছিলো মানুষ স্বর্গের দূত,
যিনি সময়কে স্বার্থের কাছে বিক্রি করে দিলেন কাঁচা পয়সায়
আর মানুষ হয়ে অন্ধকারে মানুষের রক্ত গিলেন নির্দ্বিধায়
হয়তো তিনি উপন্যাসের কাল ভদ্রে লেখা একটা
চিত্রকরের আঁকা জীবাশ্মহীন অস্তিত্ব ছিলেন, কোনো এক ছেঁড়া কাঁথায় |
সময় নাকি মাথায় উঠেছে আজ
স্বার্থরা নাকি ঘোড়ায় চড়ে
লাটিম ঘুরায়,
স্বপ্নরা যেখানে ক্ষুধার্থ হয়ে কাঠের লাঙ্গলে গরুর মতো মানুষ চড়ায়
আর তালগাছের মতো হেলেদুলে বাতাসে বাতাসার গুজব ছড়ায়
তারপরও
যদি শেষ বেলায় সুবিধাবাদিতার নগ্ন মুখোশ খসে পড়ে যায়
মানুষের মাটির বিছানায়
থাকি তার অপেক্ষায় |
পিছনে দাঁড়িয়ে যে নাটক বানায়
অন্যের খেলা দেখে নিজের চেহেরা যার নিমিষেই অমানুষ হয়ে যায়
অবেলায়, সেল ফোনের তরঙ্গের খেলায়
সাধু সেজে সে আবার সকাল বেলায়
মানুষের হাটে হাড়ি ভেঙে
বলে বেড়ায় আমার যাওয়া পাওয়ার তো আর কিছু নাই
হয়তো লোভীদের স্বভাব এমনটাই
যত পায় তত চায়
যত খায় তত ক্ষুধা পায়
তারপর চোরাবালিতে খরস্রোতা নদীর গতিপথে একদিন আটকে যায়
তখনও জানেনা কেউ পালাবার পথ কোথায়
হয়তো এটাই
পড়ে যায় গভীর সমুদ্রের যন্ত্রনায় |
যার শখ নিজের পায়ে কুড়াল মারার
তার আর অন্ধের মধ্যে ব্যবধান কোথায়
হয়তো বলা যায় কিংবা দায়বদ্ধতা হয়ে যায়
তৃণলতায়
আর উপুড় হয়ে খরগোশের মতো ঘাস খায়
অবলীলায় |
সব বেটা চোর আর জোচ্চর
খবরের পিছনের খবর
আরো ভয়ংকর,
প্রতিদিন শেয়ার বাজারের মতো মানুষ কেনা বেচার চলে দামদর
চোরদের বাড়ে কদর আর ভালো মানুষের গায়ে হিংস্র দানব টেনে দেয়
কলংকের বহুমাত্রিক কৃত্রিমতার চাদর |
সাধু হয় চোর
চোর হয় সাধু
কি বিপন্ন ক্ষমতার অপব্যবহার
যেখানে রাত শেষে ঘুম ভেঙে দেখি
জোকারদের ভীমরতি জাদু |
তবে যখন আকাশ তাকায় আয়নায়
যেখানে টুকরো টুকরো কাঁচের ক্ষত বিক্ষত চামড়ায়
হাড় মাংসোর গান গেয়ে বেড়ায়
কেউ একজন,
এক বালতি পূর্ণিমার আলোর জলধারায়
বিবেকের দৃশ্যপট চেনা কিংবদন্তির কালি কলমের লিখে অধ্যায়
যদি ফিরে পায় জীবনের কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে
মানুষের হারানো মন মানুষের মেলায়
এখনো জেগে আছে চোখ খোলা বারান্দায় প্রতীক্ষায় |