একটা  বিশ্বাসঘাতকের মুখ
কেমন হতে পারে
প্রশ্নটা খুব সহজ নয়
খুব কঠিন নয়
কিন্তু অনেকটা
বিশ্বাসঘাতকের মতো |
বিশ্বাসঘাতকতা যদি
একটা রোগ হয়
তবে দোষটা কি রোগটার
নাকি বিশ্বাসঘাতক মুখটার
খুব জটিল একটা থিওরির মতো
বিষয়টা
যদিও সেটা বিষয় নয়
বিষয়ের বাইরের বাস্তুতন্ত্রের মতো
যেখানে মাটি আর পানি তাদের
অস্তিত্ব জীবিত রাখলেও
আকাশকে  পিষে মেরেছে |
একটা কাঁচের আয়নায়
যে মুখটা দেখছে মানুষটা
সেটা কি তার
নাকি তার মতো কোনো এক
বিশ্বাসঘাতকের
মানুষ খুব অসহায়
পৃথিবীর সব মানুষের
মুখগুলো  দেখতে পেলেও
মানুষ তার মুখটা
নিজে দেখতে পায়না
হয়তো বিশ্বাসঘাতকতা
রোগটা তার ভিতরের
মানুষটাকে বাইরে
বের করে না এনে
বিশ্বাস ভঙ্গের ছবিটা
ক্যামেরা বন্দি করে রাখে
নিজের মতো করে |
কেউ দেখে কেউবা
না দেখার ভান করে
মুখ তো মুখোশ
মুখোশে মানুষ নেই
মানুষে মানুষ নেই
মানুষের মন নেই
মানুষটাই নেই  |
মানুষটা নিজের কাঁধে
নিজের লাশটা বয়ে বেড়াচ্ছে
দীর্ঘদিন
অথচ সেটা সে জানেনা
যেমন বিশ্বাসঘাতক জানেনা
তার বিশ্বাসের ভিতরটা
মরে গিয়ে অনেকদিন আগেই
লাশ হয়েছে
এখন সেটা কফিনবন্দি
হতে বাকি আছে
ততটা  সময়
যতটা সময়
সময়ের ভিতরে নেই
ভিতরের সময়ে নেই
সময় মুখ বদলায়
তারপরও
মুখ মুখের মতো নেই
মানুষের মুখ নেই
মুখের মানুষ নেই
সব আছে
কিছুই নেই
অত:পর............... |