তোমাদের শহর থেকে বিদায় এবার
হয়তো অন্য কোনো গ্রহে,
যেখানে বট বৃক্ষের হিমশীতল সুখের অসুখ
কেঁদে উঠে দ্রোহে কিংবা বিদ্রোহে |
যে শহরে মানুষ থাকেনা
থাকে স্বার্থপর মন,
সে শহরে ধারাপাতের ছন্দ থাকেনা
পড়ে থাকে অযত্নে ঘুমোট বাধা বাস্পায়িত জীবন |
কেমন করে যেন মানুষগুলো বদলে গেছে
যেমন ভূমিকম্পের পরে বদলে যায় সাজানো শহর,
বিধস্ত চোরাবালিতে ডুবন্ত উড়োজাহাজ
আর অন্ধকারের আলো হারানো নগ্ন প্রহর |
সব যে লোক দেখানো উদারতা
যেখানে শঙ্খনীল কারাগারে বিশুদ্ধ মানুষ
পথ হারায়,
আর অশুদ্ধ চিন্তারা মরা বীচের ফসল ফলায়,
বুক ফুলিয়ে মুনাফিকের বর্ণচোরা রঙে
গড়ে উঠা মুক্তধারার বিশ্বাসে চিড় ধরায়,
তারপর সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই মানুষ
এই কল্পিত হুংকারে শব্দ ছড়ায় আর হায় হায়
তারপর কৃত্রিম রসায়নে বিকৃত বিক্রিয়ায়,
নিচু স্বরে অগত্যা চেঁচায় আমরা বড় অসহায়,
আমাদের এই কাঁচের শহরে সাদা মানুষদের
ঠাঁই নাই,
ঘরে কিংবা রাস্তায়
চিন্তায় কিংবা সাধনায় |
তবুও মন হীরক খন্ডের মতো পরশ পাথরে
ঘষে ঘষে,
জ্বালায় বিবেক আর অস্তিত্বের শিহরণ,
যে শহর আমার ছিল তা আজ দুর্বৃত্তের হাতের পুতুল,
তবুও জীবনের বিশুদ্ধ চিন্তার প্রতিরোধ
সময়কে পিছে ফেলে আরেক শহরের নিস্কন্টক শুভবোধ
আর লোক দেখানো জীবাত্মাদের বিরুদ্ধে
গড়ে অবরোধ
প্রতিশোধ নয়, চাই সবার সুচিন্তার মানবতাবোধ
আর ঝুলন্ত গতিপথের মিলিত শপথ |
বসে আছি
শহরের শেষ প্রান্তে
জীবাশ্মের মতো,
যদি ডাক পিয়নের ঝুলি থেকে চিঠি আসে আগামীর
তা আধ্যাতিকতার আকুল ব্যাকুলতায় জানতে,
যেখানে মানুষ হবে মানুষ,
শহর হবে জীবন্ত মানুষের,
আর স্বপ্নীল মনের,
কিংবা মহানায়কদের কণ্ঠস্বরের |