মানুষ নাকি মুখোশ
যার চোখ আছে মুখ নেই
যে বাজারের দরে বিক্রি হয়
প্রতিদিন,
কিংবা সভ্যতাকে টেনে এনে
ছিঁড়ে ফেলে নিজের আত্ম পরিচয়,
হয়তো কেউ জানে আর কেউ নয়
সবাই বলছে সময়টা নাকি উল্টো পথে চলে
আজ তারাবাতির ঝলমলে জৌলুসের শহরে,
তবু রাত এসে আর্তনাদ করে দ্বিপ্রহরে
আর ধুঁকে ধুঁকে যন্ত্রনায় মরে,
হাতুড়ি নিয়ে নিজের বিবেক ভাঙে আর গড়ে
কোনো নামহীন প্রেতত্মার নেক নজরে |
সকালে মুখোশ, রাতেও মুখোশ
খুব চেনা
তবুও মনে হয় ধমনীর শিরা ছিদ্র করে
কোনো টাকার গোলাম, সস্তায় কেনা,
অবাক চোখ
তারপরও সময়কে হাতে নিয়ে দালালদের
ছকে বাধা খেলা,
ভাবনার ঘড়ির চাবিটা চাবুক হাতে নিয়ে
সাজায় টাটকা খেজুর রসের মেলা |
হাত বুলায় মনে
উন্মাদ হয়ে যায় চুপসে যাওয়া কষ্টি পাথরের দালান,
আর কুস্তি লড়ে বুনো বিড়ালের দল
কঠিন সত্যের সাথে ধস্তা ধস্তি করে নিভে যাওয়া
ভীরুর চোখ সিংহের কাছে হয় অচল,
যেন কোনো গোত্রহীন মাতব্বরের কোলাহল |
এবার উদার চিন্তারা গর্জন করে
নেমে আসে মাটিতে,
মুখোশটা খসে পড়ে
জনমানুষের আক্রোশের শীতল পাটিতে,
তাকিয়ে থাকে সময়
চুপচাপ,
তারপর প্রকৃতি ধিক্কার দিয়ে বলে
ওরা মানুষ নয়,
ওরা মানুষ হতে পারেনি,
মানুষের মন নিয়ে মঞ্চ নাটকের অন্তরালের
ভেঙে গিয়ে মন ওদের দেহটা দুমড়ে মুচড়ে
হয় ক্ষয়
আর অবক্ষয়
নিস্তব্ধ,
তবু ভীত হয় |
তখনও মানুষ সময় গুনে
তারপর জেগে উঠে খসে পড়া মন
আর অঝোর কান্নায় জোনাকিরা থাকে অনেক্ষন
যতক্ষণ
মানুষ মানুষ হবে
আর মুখোশ করবে বিসর্জন
তারপর যদি ফিরে আসে
মানুষের মুখ আর
আলোর নাচন,
বেঁচে থাকবে সময় ততক্ষন
বীরের মতন |