হয়তো এটাই বাস্তবতা
মানুষ বদলে যায় স্বার্থের ব্যবসায়
যেখানে প্রাণের সাথে প্রাণের মিলন
থেকে যায় কল্পনায় |
হয়তো রোবট তান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায়
মানুষের আবেগ যন্ত্রের যন্ত্রনায়
বন্দি হয়ে যায়
কোনো এক মরীচিকার দুর্ভেদ্য বারান্দায় |
আমি চেয়ে থাকি
অবাক হয়ে যাই
তবে মানুষের জীবন কি নিষ্পেষিত হবে
সময়ের নির্মম আল্পনায় |
কেমন যেন সবাই তরল থেকে
কঠিন আর দরবেশ থেকে মুনাফিক হয়ে যায়
সবখানেই আজ রাবনের মুখ
মানুষের অর্থহীন বিবেক ছিড়েছে যেন ছারপোকায় |
আত্মিক সম্পর্ক যেন ইতিহাসের প্রাচীন কথা
আর্থিক সম্পর্কের কৃত্রিম প্রাচীর
ঝলমলে ভীমরতির নগরে সাজায় বাতিঘর
মানুষে মানুষে দেখছি আজ ভালোবাসায় চিড়
মনে হয় সুমুদ্রটা আছে তারপরও উপকূলের নেই তীর |
কেমন যেন একটা
দূষিত ফুসফুস
যেখানে অর্থের হাতে নাচে মানুষের পুতুল
পচা নর্দমার দম বন্ধ হওয়া
সুযোগের প্রতিক্ষায় থাকে স্বার্থের ঘুষ |
মানুষের হাতে যে সাদা মন ছিল
তা যেন আজ রক্তের হাত
পত্রিকায় কালো অক্ষরের পাতায়
আর গ্রাম বাংলার নক্সীকাঁথায়
সেই জীবন্ত মানুষের সব্যসাচী হাতের
জাদুকরী মন হরণের যাত্রা পালা আর নাই
চোরে চোরে আজ হয়ে গেছে মাসতুতো ভাই |
অভাগারা কেবল আকাশে তাকায়
যদি মানুষের নগরে ফিরে আসে মানুষ
আর জীবন ফিরে আসে সভ্যতার কাব্যগাথায়
সেই পর্যন্ত থাকি তোমাদের অপেক্ষায় |
হে মহাজীবন
জীবন আমার
যার যাত্রা শুরু হয়েছিল এক বিন্দু রক্তধারার
জমাট বাধার,
কষ্ট মাখা মায়ের মুখের নিয়ে সিক্ত অহংকার
আর বাবার ছেঁড়া জামার স্বপ্ন দেখার
ঘুমন্ত চোখ হয়তো আবার
ফিরে পাবার ভাবনায় চক্রাকার
জানালার,
হে জীবন মহাজীবন আমার
দিন গুনি তোমাকে আবার নতুন করে ফিরে পাবার |