মানুষ আর মানুষ নেই
সব নষ্ট মানুষ,
অনুভূতি, মন, সব যেন পুড়ে হয়ে গেছে ছাই
যদি পোড়াতে চায় কেউ কাউকে
মিথ্যের ছলনায়,
তবে তার পাপ ভ্রান্ত বিলাস তাকে খাবে গিলে
রুখে দেবে স্বচ্ছ মানুষ তাদের অভিশাপে সব অন্যায়
আর পাপীর জীবন, অস্থির মন
ইতিহাসের শব্দ বেয়ে লিখে দিবে একটি নাম গোত্রহীন
নীল কাজলের নিভৃত অধ্যায় |
তোমার চোখ, তোমার মুখ. তোমার আলো আঁধার
লুকোচুরি খেলে,
দৃষ্টি মেলাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে
জ্বলে আর নেভে,
আর গ্রাস করে তোমাকে কাল বৈশাখীর পিন পতন ঝড়ে |
বিড়ম্বিত হয় তোমার কপালের ভাঁজ
যে হাতে উঠেছে আজ অন্যের অপবাদ
সে কণ্ঠ জড়তায় আড়ষ্ট
তোমার ভ্রান্ত মতবাদ আর সাদা পাখায় ভর করা
সুমুদ্রর অথৈই জলে নেমে বলে
সে অভিশপ্ত হাত কালো হয়ে যাবে
হয়তো শুকুনীরা তোমার বিদীর্ণ জীবনের তৈল চিত্রে
নিজের বিবেকের আয়নায় নিজের দেখা দৈত্যের ছবি পাবে |
তবুও বলতে হয় তোমার দাবার চাল
আনবেনা মানুষের সুখ, তোমার খোঁড়া গর্তে
নিজ হস্তে, তোমার রহস্যময় হাসির বিধস্ত যবনিকাপাত
ঘাত প্রতিঘাত আর
তারপর যদি ফিরে আসে আবার বাহারি রং আর রেশমি চুরির প্রভাত |
আমরা মানুষ, তোমার মতো স্বার্থপর নই
আমরা মানুষকে নিয়ে ভাবি
প্রজাপতির পাপড়ি আর শ্রাবনের রিমঝিম বৃষ্টির
মাঝে খুঁজি মানুষের সাথে মানুষের আত্মিক সম্পর্কের
চিরচেনা মহাজীবনের কাব্যিক দাবি |
গড়াবে সময়
মুখের খোলস ছেড়ে নেমে আসবে তোমার আসল রূপ
তারপর বিদ্রুপ আর তোমার অহংকারের বস্তাপচা
সংলাপ আর গোপন অভিসন্ধি তোমার হাতেই তোমাকে নাচাবে খুব |
আজ তুমি যা অন্যের জন্য ভাবছো
কাল তা অপেক্ষা করছে তোমার জন্য
তাই হৃদয় হোক অবারিত, জীবন হোক অভিসার
কোনো এক বুনো মানুষের আঁচড়ে যদি
ক্রান্তিকালের সন্ধিক্ষণ হয় কখনো আবার হাতে হাত ধরবার
এক গর্বিত মিলনের অহংকার |
তুমিতো দেখোনি মানুষের কষ্ট আর বুকে জমানো কান্না
খুঁজেছো মরীচিকা আর হিরে মতি পান্না
এবার তাকাও তো তোমার নিজের ভিতরটায়
সেখানে নষ্ট সব
মানুষ কোথায় |