এখন আর পিছনের সময় নিয়ে ভাবিনা
হাতের জাদুকরী স্পর্শে আশা আর আনন্দের
ঝলকানি খুঁজি
তারপর কুঁচকানো কপালে বন্ধ করে রাখি দুচোখ
মনে হয় কল্পনায় জীবন আসবে বুঝি |
এলোমেলো বুকের ভিতর
তবুও  পানির বরফে ঘর বাধি
হয়তো আগুনের উষ্ণতায় তরল হয়ে যেতে চায়
জমাট বাঁধা কঠিন পানি
এখন  আর এসব নিয়ে ভাবিনা
দুর্গম পাহাড়ের বক্রাকার পাথরে কিভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তা জানি |
হয়তো একদিন বাস্প ছিলাম
এখন বাস্তবতা হয়ে গেছি
যেমন হয়েছে সংকুচিত শব্দঘর
আর কল্পনাটা স্বপ্নের বাক্সে আটকে রেখে এখনো দেখি মায়ের আদর
বাবার ছেঁড়া পাঞ্জাবি আর কাশ্মীরি চাদর |
এখন নাকি কান্না, দুঃখ, শোক সবকিছু
বিসর্জনের দিন
বেঁচে থাকার জন্য কষ্টেও হাসতে হয়  
হয়তো মরচে ধরা মনের ঈশ্বর কণা তখন মলিন |
তারপরও চলতে  হয়
কিন্তু উদ্ভিদের প্রাণ আছে কিন্তু তার  চলাচল
হয়তো অবরুদ্ধ মাটিতে শক্ত শেকড়ের মতো
যেমন মানুষের পিছনের ভাবনারা
বাড়ন্ত শহরের বুক চিরে এঁকে দেয় জলপাই রঙের অদেখা ক্ষত |
যদিও বলি পিছনকে ফেলে দিবো জীবনের আঘাতে
তখনও নীলাম্বরী  শাড়ি পড়া অভাগীদের কথা মনে পড়ে
যারা ভেবেছিলো ভাবনারা বর্তমান
কিন্তু টম টম গাড়ি বদলে গিয়ে তখন তাকিয়ে দেখছে নীল আসমান
তারপরও জীবন তো,  তাকে তো সময়ে আটকে রাখা যায়না
নিঃশব্দে এখনও সমান্তরাল পিছনে খুঁজি অসমান
বিবেকবোধ আর গর্বিত অপমান |