থমকে গেলো সময়
ইতিহাস আর জীবন,
কিন্তু থামলোনা কবির কবিতা
আর
কালো অক্ষরের জ্বলন্ত লেখা
যা মহাকাব্য হয়,
সভ্যতার নির্মম মাটি খুঁড়েও যার মেলেনা দেখা |
দু' পায়ে দাঁড়িয়ে,
মেরুদন্ডটা সোজা করে
ভিতরের কংকালটা টেনে ধরে,
অসীম পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বললো কবি
আমি কিংবদন্তি হতে চাই
আমি মহাকাল,
মহানায়ক হতে চাই,
হিমাদ্রির বুক চিরে বরফ খন্ড
হাতে নিয়ে সেই তীব্র দহন দিনের
অতৃপ্ত প্রতীক্ষায়,
তারপর কবির বিক্ষুব্ধ চোখ দুটো বিস্ফোরিত কান্নায়
মাটিতে গড়িয়ে যায়
আর খুঁজে মানুষ, চিঠি লিখবে যার, সীমান্তের ঠিকানায় |
তারপর কোনো এক ঐতিহাসিক দিনে
দল ধরে মানুষ মিছিল করে আসে
কবির মৃত্যু সজ্জায়,
আর খুঁজে হারানো আপনজন
অন্তরের চেয়েও যে ছিল আপন
তবুও নিথর দেহে কবির পাখি হওয়া
আত্মাটা নিঃশব্দে বলে উঠে
আমি আছি, আমি থাকবো
আমিতো তোমাদেরই একজন |
যেদিন তোমাদের জন্য কেঁদেছি
লিখেছি কবিতা,
জীবনের কাহিনী আর মানুষের কথা,
সেদিন চিনোনি তাকে,
ফেলে দিয়েছিলে আস্তাকুঁড়ে
দিতে পারোনি মূল্য তার,
মরণের দিনে হয়তো আজ প্রতিদান তার দিলে |
আজও কবি তারা হয়ে দেখে তোমাদের
শুভদিনের অপেক্ষায় বাঁধে ফুল,
একবার যেখানে চলে যেতে হয়
ফিরে আসা হয়না আর
তবুও কবির মন থাকে রাতের এলোমেলো
আয়নাতে ব্যাকুল,
আর পরে থাকে কোনো এক নামহীন
পদচিহ্ন
কোন এক নিঃসম রাত্রিতে হয়ে আকুল,
আর প্রিয়সীর ঝুলে পড়া নিভৃত
কানের আওয়াজে এক ঝরে পড়া ঝুমকো দুল |
এক বিন্দু ঘাম
যেন এক বিন্দু রক্তের চেয়ে দামি,
কবি আজ নেই তবু হয়ে আছে
এখনো তোমাদের অন্তর্যামী,
কবিতাগুলো মেঘ থেকে পরে গেছে
সূর্যটা জেগে ছিল তখনও যদিও অস্তগামী |