যদি তুমি থেমে যাও
পৃথিবী থেমে থাকবেনা
মানুষ থেমে থাকবেনা
আর
সময় দুরন্ত ঘড়ির কাটা হয়ে দৌঁড়াবে
ছুটবে আর দৌঁড়াবে
যতক্ষণ নিজের রূপান্তরকে এগিয়ে নিতে পারে
ততক্ষন চলবে তার দুর্ভেদ্য পাথরের পাহাড় ভেদ করা
দস্যিপনা ছেলের উত্তাল নদীতে সাঁতার কাটার
স্বপ্নদর্শী চোখের আলোর জ্যোতি,
ভাবতে পারো তাকে এমন করে
যেমন শব্দকে অবজ্ঞা করে ট্রিগারে চাপ দিয়ে রকেটের গতি
অতিক্রম করে মহাকাশ,
তুমি যদি বিফল হও
তবে তোমার আকাশে
তারার পতনে ঘটে যাবে সর্বনাশ
তোমাকে দেখতে হবে বিবর্ণ সময়,
হতে হবে ঝুলন্ত বাদুড়ের বোঝা টানা সময়ের ক্রীতদাস;
পৃথিবী নির্দয়ের মতো তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে বহুদূর
তোমার জীবন জড়তার সূত্রে আটকে যাবে,
মনের জল তরঙ্গ থমকে যাবে আর বাজবেনা সুরের নুপুর
হয়তো সেটা হতে পারে দীর্ঘ প্রতীক্ষার রাত
কিংবা অলস ভেঙে পড়া দেহের মধ্য দুপুর |
যদি পারো মেরুদন্ড শক্ত করে
উঠে দাড়াও,
যদি পারো সময়কে পা দিয়ে মাড়িয়ে
জীবনের স্বপ্নের পথে হাত বাড়াও,
কেন তুমি সময়ের ঘড়ির কাটায় আটকে যেতে চাও ?
ঘড়ির কাটাকে টেনে বের করে এনে
তোমাকে এগিয়ে দাও
স্বপ্নের মতো কিংবা এগিয়ে নাও স্বপ্নের চেয়ে বেশি
যতটা পারো ঠিক ততটা,
যেখানে রেখে এসেছিলে তোমার পরাজয়ের
নির্মম লজ্জাবতী বৃক্ষের ক্ষতটা |
চোখে মুখে তোমার দেখতে চাই অদম্য সাহস
উদোম গায়ে আত্মবিশ্বাসী হোক
তোমার হৃদপিণ্ডের ঝংকার,
তোমার বিজয়ের আনন্দরা নেচে উঠুক
সুপারসনিক শব্দ করে যতবার পারে
ঠিক ততবার |
সফল হও তুমি
সফল হোক তোমার স্বপ্ন জয়ের
অসাধ্যকে সাধন করার পদযাত্রা,
উল্লসিত হোক মেঘ আর লংঘিত হোক
মহাবিস্ময় আর পৃথিবী জয়ের কালজয়ী মহাকালের তৃতীয় মাত্রা |
মানুষ সব পারে
যেমন ভাঙতে পারে, তেমন গড়তে
বাস্তবতার কঠিন সত্যকে চিবিয়ে খেতে জানে মানুষ
আর সময়কে হাতের কব্জি দিয়ে ঠেকিয়ে অলস সময়কে ধরতে
তারপরও নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়ে
মানুষ এগিয়ে যায়,
যদি প্রযুক্তির পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রকৃতির কাছে ফিরে পায়
নিজের শেকড় খোঁজা অস্তিত্বের জীবন্ত অধ্যায়,
তখনও অবাধ্য নদী বয়ে যায়
আর মানুষ সমুদ্রের নীল পানিতে জলপরীর
রূপের মোহনায় প্রেমে হবুডুবু খায়
একটু তীরের আশায়,
যদি ফিরে আসে মানুষ
কোনো এক আলোকিত সভ্যতার স্রোত ধারায়
তারপরও মন হারায় আর জীবনের গান গায়
আমৃত্যু অবলীলায় |