এক খন্ড সত্যের পাথর ছুড়ে মারলাম আকাশে
খণ্ডিত বিখন্ডিত হলো সত্য
একটা আষ্টেপিষ্টে জড়ানো শেকড়ের উপর
উপড়ে পড়লো বিবেকের উদ্ভট আয়না
খণ্ডিত হলো মানুষের মুখ,
যেন কি এক অমূল্য রতন হারিয়ে গেছে দালালদের বাজারে
বিন্দু বিন্দু করে অগ্নুৎপাত করলো কল্পিত মুখের ভয়ার্ত অসুখ
সংক্রমিত হলো জীবন,
কাঁচের টুকরোই ভেঙেচুরে অদৃশ্য হলো
একটুকরো অতৃপ্ত মনের তাল লয়ের ছন্দবিহীন সুখ |
তারপর মানুষের মহাকালে যাত্রা
যেখানে পাথর হয়েছে সময়,
ঝরে পড়েছে মানুষের মানবিক সভ্যতার নির্ঘুম যন্ত্রণার মাত্রা
আর যেখানে আলোরা ধসে পড়ে হয়ে গেছে নির্দয়,
নেই ইট পাথরের গাঁথুনি, আছে ভূমিকম্পের সৃষ্টিকে হারিয়ে ক্ষয়
আর দৈত্যদের দাম্ভিক বিজয় |
তারপরও কান পেতে শুনি
মানুষের জয়োধ্বনি,
যেখানে সময় চলেছে ছুটে
পাপড়িরা লজ্জিত আবরণের খোলস থেকে বেরিয়ে
চাঁদের মতো বিস্ফোরিত মহাকাশে উঠেছে ফুটে |
এক ঝাঁক দ্রুতিময় গীতি
রোদ্দ্র্রুর বসন্ত ফেলে চাপা রাস্তাটাই গড়েছে স্বপ্নের স্থিতি,
যদি ফিরে আসে বিশুদ্ধ যৌবন
আবেগ, মানবিক প্রগতি,
আর সীমান্তবর্তী সীমা ছেড়ে অসীমে
সম্পর্ক, বিশ্বাস আর বিধস্ত শহরের বিকীর্ণ প্রেম-প্রীতি,
যেখানে নেই কোনো জয় পরাজয়ের ভীতি
আছে নৈসর্গিক রীতি নীতি আর কাঁধে ঝুলানো
গিটার, এক টুকরো কাগজের চিঠি আর জীবন্ত কিংবদন্তিদের স্মৃতি |
এখানে মানুষ মানুষ কিনেনা
কিনে নিজের ভেঙে যাওয়া মন,
যেখানে তীব্র তাপদাহে কংক্রিটের ভাঁজ করা চামড়ায়
জীবন জীবনকে খুঁজে সারাক্ষন,
যেমন স্বপ্ন খুঁজে স্বপ্ন হরণ
আর তারপর এক কালজয়ী চিন্তার
সন্ধিক্ষণ আর সম্ভাবনার মাহেন্দ্রক্ষণ
অপেক্ষায় থাকে কে জানে কবে কতদূর কতক্ষন
হয়তোবা আমরণ |